পাত্রী সবে ১৮ বছরে পা দিয়েছেন। এদিকে পাত্রের বয়স ৭৮। কিন্তু প্রেমের টানের কাছে হার মানল বয়সের ব্যবধান। সাতপাকে বাঁধা পড়লেন দুজনে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রেমের কাছে নাকি হার মানে যে কোনও বৈষম্য। তা সে জাতপাতের বৈষম্যই হোক, কি সামাজিক শ্রেণিগত ব্যবধান। কিন্তু বয়সের বিস্তর ব্যবধানের ক্ষেত্রেও যে সেই একই কথা খাটে, এবার সেই কথাই প্রমাণ করে দিলেন এই অসমবয়সি জুটি। এক দুই বছর নয়, তাঁদের দুজনের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ঠিক ষাট বছরের। পাত্রী সবে সাবালিকা হয়েছেন, অর্থাৎ ১৮ বছরে পা রেখেছেন। এদিকে পাত্রের বয়স ৭৮। তা সত্ত্বেও শেষমেশ ছাঁদনাতলায় এসে দাঁড়ালেন যুগলে। একে অপরের হাতে হাত রেখে অঙ্গীকার করলেন একসঙ্গে পথ চলার। ভালবাসার জোরেই এই পরিণতিতে পৌঁছেছেন তারা, এমনটাই দাবি করল যুগলের পরিবার।
আরও শুনুন: চুম্বনে অ্যালার্জি! ডেটে গিয়ে প্রেমিকের আদরের জেরে প্রাণ নিয়েই টানাটানি যুবতীর
কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা? তাহলে খুলেই বলা যাক।
ফিলিপাইনসে বসেছিল এই বিয়ের আসর। ১৮ বছরের এক তরুণী, হালিমা আবদুল্লাহকে বিয়ে করেছেন ৭৮ বছরের রাশেদ মঙ্গাকপ। তাঁর দাবি, কনের বয়স যখন ১৫, তখনই তাঁরা ‘প্রেমে’ পড়েন। আর তিন বছর পর সেই প্রেমই পরিণতি পেল বিয়েতে।
আরও শুনুন: সুনামিতে নিখোঁজ স্ত্রীকে এখনও খুঁজে চলেছেন স্বামী, পাড়ি দেন সমুদ্রের গভীরেও
হালিমাই নাকি রাশেদের জীবনের প্রথম প্রেম, এমনটাই দাবি করেছে তাঁর পরিবার। এই বিয়ে যে কোনোরকম সামাজিক বা পারিবারিক বোঝাপড়া থেকে ঘটেনি, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই বৃদ্ধের ভাইপো। তিনি জানিয়েছেন, রাশেদ এর আগে বিয়ে করেননি, এমনকি প্রেমেও পড়েননি কখনও। হালিমাকে দেখেই প্রথম ঘটনার স্রোত অন্যদিকে মোড় নেয়। যদিও তাঁর দাবি, রাশেদ নয়, প্রথম প্রেমে পড়েন হালিমাই। দ্রুত সেই প্রেমে সাড়া দেন রাশেদও। জানা গিয়েছে, রাশেদ আগে চাষাবাদ করতেন। তবে এখন তিনি অবসর নিয়েছেন। এদিকে হালিমার বাবা রাশেদের হয়ে কাজ করেন। সেই সূত্রেই বছর তিনেক আগে ফিলিপাইনসের কাগায়ান অঞ্চলে আয়োজিত এক ডিনার পার্টিতে দুজনের দেখা হয়। তারপরই জমে ওঠে প্রেম।
এই বিয়েতে বর বা কনে কারও পরিবার থেকেই আপত্তি ওঠেনি বলেই জানা গিয়েছে। আপাতত সংসারে নতুন অতিথির আগমনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।