সুস্বাদু পদ বাটার চিকেন। হাতে গরম বিক্রি হচ্ছে এক রেস্তরাঁয়। কিন্তু তা নাকি একশো শতাংশ নিরামিষ! এমনটা আবার হয় নাকি! হয় না বলেই তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। আসুন শুনে নিই।
সময়টা নবরাত্রির। পাকাপাকি নিরামিষাশী না হলেও, এ সময় বহু মানুষই আমিষকে সরিয়ে রাখেন। খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় এখন রাজত্ব নিরামিষেরই। আর তাই ক্রেতাদের মন রক্ষা করতে গিয়ে অবাক করা কাণ্ডই ঘটাল এক রেস্তরাঁ। জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি অ্যাপে রেস্তরাঁটির খাবার-দাবারের খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে বিক্রি হচ্ছে নিরামিষ বাটার-চিকেন। তাও নাকি আবার ১০০ শতাংশ নিরামিষ। অনীতা নামে জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী এর একটা স্ক্রিন-শট পোস্ট করেন। আর তারপরই শুরু হয়েছে নানারকম ব্যাখ্যা দেওয়ার পালা।
আরও শুনুন: ভিনজাতে বিয়ে করলেই মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, ঘোষণা রাজস্থান সরকারের
কেউ কেউ বলছেন, বাটার তো নিরামিষ। আর মুরগী তো নিরামিষই খায়। তাহলে বাটার-চিকেন নিরামিষ হবে না কেন! রসিকতা করে কেউ কেউ আবার বলেছেন, একমাত্র রেড মিট ছাড়া বাকি সবকিছুকেই নিরামিষ ঘোষণা করা উচিত। নানা ব্যাখ্যা মজা-মশকরা চলছে বটে, তবে বাংলায় ‘নিরামিষ মাংসের’ চল আছে। দুর্গাপুজোর নবমীতে এই ধরনের মাংস রান্নার রেওয়াজ আছে। রান্নায় পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহৃত হয় না, তাই অনেকে এই পদকে নিরামিষ বলে থাকেন। আর এই মাংস যেহেতু ভগবানের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত, তাই তাকে প্রসাদ হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। আবার এককালে ইলিশ মাছকেও নিরামিষ হিসাবে গণ্য করতেন কেউ কেউ। সেই ট্র্যাডিশন মেনেই কি এখানে চিকেনকে নিরামিষ হিসাবে ভাবা হয়েছে? যদিও তা ভাবার কোনও যুক্তি নেই। অনেকেই বলছেন, এসব কিছুই না। নবরাত্রির সময় নিরামিষ খাবারের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে নেহাত ভুল করেই রেস্তরাঁটি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আবার অনেকের মত, এই একটা ভুলের দরুন রেস্তরাঁটির যা প্রচার হল, তা-ই বা মন্দ কী! হয়তো এ নেহাত ভুল নয়, বরং প্রচারের দরুন জেনেবুঝেই এই ভুল করা হয়েছে। সত্যি যে কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে রেস্তরাঁ তা অজানা বটে, তবে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড়ই তুলেছে এই ‘১০০ শতাংশ নিরামিষ বাটার চিকেন’।
Spot what’s wrong. pic.twitter.com/PwrBVMQUJl
— Aneetta (@aneetta_joby_) March 25, 2023