অনেকের বেলায় যা সারাজীবনের সঞ্চয়, এই মহিলা সেই পরিমাণ টাকাই রোজগার করেন এক দিনে। তবে কেবল এক দিনেই নয়, বিগত দু’মাস ধরে প্রতিদিনই সেই টাকা উপার্জন করে আসছেন তিনি। হ্যাঁ, এই গোটা সময়টা জুড়ে প্রতিদিন ৪০ কোটি টাকা রোজগার করেছেন তিনি। কিন্তু কীভাবে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রত্যেক দিনের রোজগার নাকি ৪০ কোটি টাকা! তাও এক-দুদিন নয়, টানা দু’মাস ধরে প্রতিদিন এই বিপুল পরিমাণ অর্থই আয় করে চলেছেন এই মহিলা। তাঁর আয়ের পরিমাণ দেখে নেটিজেনদের চক্ষু চড়কগাছ! কিন্তু কী উপায়ে এমন উপার্জন করলেন তিনি? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: স্কুল তো নয় যেন জেলখানা! ৩৪ লাখের বিনিময়ে স্কুলবাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন পড়ুয়াদের
আসলে শেয়ার বাজারের দৌলতেই এমন ফুলেফেঁপে উঠেছেন ওই মহিলা। ইদানীং কালে শেয়ারে টাকা খাটিয়ে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন তো দেখেন অনেকেই। তবে এই মহিলার ক্ষেত্রে সৌভাগ্য এসেছে একেবারে আকাশছোঁয়া চেহারায়। বিগত দু’মাসে একটি সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। যার ফলে ওই সংস্থার শেয়ারহোল্ডারেরা প্রত্যেকেই বড়সড় লভ্যাংশ পেয়েছেন। আর তাঁদের অন্যতম এই মহিলা। সত্যি বলতে বর্তমানে তিনি দেশের সবচেয়ে ধনী মহিলাদের মধ্যেও একজন। গত দু’মাসে তাঁর পাওয়া মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আরও শুনুন: স্বামী নয়, ভালবাসার মানুষ শ্বশুর! নিজের শর্তেই যমজ সন্তানের মা হতে চলেছেন ‘বউমা’
অথচ আশ্চর্যের কথা হল, যে শেয়ারগুলির দৌলতে তিনি এমন বিপুল অর্থের মালকিন হয়েছেন, তার মালিকানা আদতে তাঁর ছিলই না। তিনি রেখা ঝুনঝুনওয়ালা, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী। স্টক মার্কেটে যাঁরা বিনিয়োগ করেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতেই নাম ছিল রাকেশের। তাঁর আর্থিক সাম্রাজ্যের অধিকাংশটাই এসেছিল শেয়ার বাজারের দৌলতেই। গত বছরে তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর শেয়ারগুলির মালিকানা বর্তায় তাঁর স্ত্রী রেখার উপরেই। সেই শেয়ারগুলির মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ছিল টাইটানের শেয়ারগুলি। সম্প্রতি বিপুল লাভের মুখ দেখেছে ওই সংস্থা। যার দরুন প্রতি শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫১২ টাকা। এদিকে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার শেয়ার ছিল রেখার নামে, যা সংস্থার মোট শেয়ারের প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ। ফলত ওই শেয়ারগুলির দৌলতেই রেখার মোট সম্পত্তির মূল্যমান বেড়ে গিয়েছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুর পরেও তাঁর সাম্রাজ্যকে যে শক্ত হাতেই ধরে রেখেছেন রেখা, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা।