পাকিস্তানের হামলা থেকে দেশকে বাঁচাতে তখন যুযুধান কার্গিল। জীবন পণ করে লড়ছেন দেশের সেনা জওয়ানরা। আর সেই গুলিগোলার ঝড়ের মধ্যেই সেনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোদি। কার্গিল যুদ্ধের ২৫ বছর পূর্তিতে সামনে এল সে তথ্য।
দেশপ্রেম বিষয়টি যে মোদির রাজনীতির একটি বড় আয়ুধ, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বরাবরই কার্গিল বিজয় দিবসকে রীতিমতো গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এবার, কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তির দিনেই মোদি আর্কাইভ থেকে প্রকাশ করা হল ছবি-সহ একটি অডিও ক্লিপ, যেখানে দাবি করা হয়েছে কার্গিল যুদ্ধের সময় সেখানে গিয়েছিলেন মোদি।
:আরও শুনুন:
মুসলিমদের মতো ফেজ মাথায় দেবেন মোদি? হয়তো একদিন… আশা নাসিরুদ্দিনের
বলা হয়েছে, একটি এমআই-১৭ কপ্টারে চেপে সেসময়ে কার্গিলে পৌঁছেছিলেন মোদি। যুদ্ধ তখন চরমে। চারদিকে গুলিগোলার আওয়াজ, রক্ত আর মৃত্যুর গন্ধ। পাহাড়ের উপরে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে শত্রু সেনা। তবুও প্রাণের ভয় না করে লড়ছেন জওয়ানরা। পাক সেনার লাগাতার বোমাবর্ষণের মধ্যেই মোদি ও তাঁর সঙ্গীরা শ্রীনগরে নেমেছিলেন। সেনাবাহিনীর জন্য রসদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে গিয়ে আহত সেনাদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও জওয়ানদের সঙ্গে সামান্য কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন মোদি। মোদি আর্কাইভ থেকে করা সোশাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, সাধারণ নাগরিক হিসেবেই সেনাদের কুর্নিশ জানিয়েছিলেন মোদি। কিন্তু তিনি যখন সেনাদের বীরত্বের জন্য কুর্নিশ জানান, তাঁকে অবাক করে দিয়ে সেনারা কৃতিত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে। কেন্দ্রে তখন বিজেপির সরকার, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ চালাচ্ছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। কার্গিল যুদ্ধের সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের কাছ থেকে আমেরিকা সফরের অনুরোধ এসেছিল বাজপেয়ীর কাছে। কিন্তু দেশের জওয়ানরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে, সেসময় সফরে যাওয়া সম্ভব নয়- সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বাজপেয়ী। আর সেই কথাটিই তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেছিল বলে মোদিকে জানান জওয়ানরা।
:আরও শুনুন:
করের বোঝা সরাতে চেয়েছিল বিজেপি, কী মত ছিল মোদির?
পাঁচ বছর আগে যখন দ্বিতীয়বার মসনদে বসছেন নরেন্দ্র মোদি, সেবার কার্গিল বিজয় দিবস কর্মসূচিতেও এ কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ১৯৯৯ সালের যুদ্ধের সময় তিনি কার্গিলেই ছিলেন। যদিও কার্গিল যুদ্ধের সময় মোদী ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর দু-বছর পরে তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। একজন রাজনৈতিক পদাধিকারী হিসাবে যুদ্ধ চলাকালীন তিনি কীভাবে কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্রে গেলেন, তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে এরপরেই সেসময়ে কার্গিলে সেনাদের সঙ্গে তোলা তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন, সেই সময়ে তিনি দলের তরফে কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন। কার্গিল যুদ্ধের সময়ে সেখানে গিয়েছিলেন সেনাদের উৎসাহ দিতে। আর এবারও মোদি আর্কাইভ থেকে পোস্ট করে সেই দাবিতেই সিলমোহর দেওয়া হল ফের।
Charged with overseeing work in Himachal Pradesh, @narendramodi, then BJP's General Secretary, boarded a Mi-17 helicopter laden with essential supplies for the soldiers while the war was still raging. Braving continuous shelling by the Pakistani Army, Modi and his team landed in… pic.twitter.com/KCmKo3daLP
— Modi Archive (@modiarchive) July 26, 2024