ইউনেস্কোর তরফে বিশষ স্বীকৃতি পেল রামচরিতমানস। সঙ্গে রয়েছে পঞ্চতন্ত্রের মতো বই। আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে সাংস্কৃতিক পরিচায়ক হিসেবে এই বইগুলিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
রামমন্দির প্রতিষ্ঠা ঘিরে দেশজুড়ে উন্মাদনা ছড়িয়েছিল। সেইসঙ্গে চর্চায় ফিরেছিল রামচরিতমানস। এমনিতে এই বই সাধু সন্ত বা ভক্তরাই নিয়মিত পাঠ করতেন। কিন্তু রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আবহে গোটা দেশেই বিক্রি বেড়েছিল এই বইয়ের। অল্পদিনের মধ্যেই বাজারে আকাল পড়েছিল। সেই বই এবার বিশেষ স্বীকৃতি পেল ইউনেস্কোর তরফে।
আরও শুনুন: মসজিদে বসেই লেখা হয়েছিল রামচরিতমানস! বিজেপিকে বিঁধে বিতর্ক উসকে দিলেন আরজেডি নেতা
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্কে হাতিয়ার করা হয় রামচন্দ্রকে। একদিকে বিজেপি, নিজেদের প্রচারে বিভিন্ন ভাবে রামকে ব্যবহার করেন। অন্যদিকে বিরোধীরা একাধিক ইস্যুতে রাম সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে এনে কটাক্ষ করেন। রামচরিতমানসও সেই বিতর্কের অংশ হয়েছে বারবার। তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানস মসজিদে বসে লেখা হয়েছে, এমন দাবিও শোনা গিয়েছিল। তবে এবার কোনও বিতর্ক নয়। রামচরিতমানস দেশের মুকুটে নতুন পালক জুড়েছে বলা যায়। সম্প্রতি ইউনেস্কোর তরফে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এই বইকে। এমনিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে বিভিন্ন বস্তু, স্থান বা খাবারকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়াই হয়। তালিকায় বাংলা বিহার ওড়িশার একাধিক জিনিস রয়েছে। এবার সেই তালিকাতেই যোগ হল রামচরিতমানসের নাম। যদিও ঠিক হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বইটির নাম তোলা হয়েছে বিশেষ রেকর্ডের খাতায়। আসলে, এই রেকর্ডের তালিকাতেই বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে এমন কিছুর নাম রাখা থাকে। রামচরিতমানসকে সেই কারণেই এই তালিকায় রাখা হচ্ছে।
আরও শুনুন: জগন্নাথ মন্দিরে দিয়েছিলেন ১ লক্ষ টাকা, সেই ভিখারিনির পা ছুঁয়ে প্রণাম মোদির
রামচরিতমানসকে দেশের সংস্কৃতির পরিচায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ধর্মীয় প্রসঙ্গ বাদ রেখে এই বইকে সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই বইয়ে থাকা ছবিগুলিকেও বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে শিল্পের প্রসঙ্গে। একইসঙ্গে এই বই ইতিহাস বহন করছে। যার একাধিক অনুবাদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের বাইরের শিল্পীদের নামও। সব মিলিয়ে রামচরিতমানসকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা ভেবেছে ইউনেস্কো। একইভাবে আরও দুই বই বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। পঞ্চতন্ত্র এবং সারদালোকা, এই দুই বইও রেকর্ডের খাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কারণ মোটের উপর একই। সাহিত্য এবং শিল্প নিদর্শন হিসেবেই এই বইগুলিকে দেওয়া হচ্ছে সম্মান। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সংস্কৃতিক পরিচায়ক হয়ে রয়েছে এই বই। এবার ইউনেস্কোর তরফে তাতেই শিলমোহর দেওয়া হল।