রাম মন্দিরের দরজা খুলতে না খুলতেই উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়। আর তাতেই লক্ষ্মীলাভ। ১০ দিনেই মোট কত উপার্জন হল মন্দিরে, জানেন?
রামজন্মভূমি অযোধ্যায় ফিরছেন রামলালা, এই বিশ্বাসেই ভক্তির জোয়ার নেমেছে দেশজুড়ে। আর রাম মন্দির উদ্বোধনের পর সেই ভক্তিস্রোত তুঙ্গে পৌঁছেছে। মন্দিরে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন রক্ষীরা। কিন্তু সেই ভিড়ের দৌলতেই যে মন্দিরের ভাঁড়ারও উপচে পড়ছে, সে কথাই জানা গেল সম্প্রতি। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর মাত্র ১০ দিন পেরোতে না পেরোতেই দেখা গেল, ভক্তদের অনুদানে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হয়েছে মন্দিরের।
আরও শুনুন: সম্প্রীতির ভারত! মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, পায়ে হেঁটে রাম মন্দির দর্শনে ৩৫০ মুসলিম ‘ভক্ত’
২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পরই রামলালাকে একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। গোটা দেশ থেকে অযোধ্যায় সহজে পৌঁছনোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থাও ঢেলে সাজাচ্ছে কেন্দ্র। তার ফলে ভক্তদের মন্দিরে পৌঁছনো আরও সুগম হয়েছে। ২২ তারিখ রামলালার অভিষেকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ লক্ষ রামভক্ত মন্দির পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আর এই ভক্তরা দেবদর্শনের জন্য সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নানারকমের উপহার ও দানসামগ্রী।
আরও শুনুন: শুধু অযোধ্যা নয়, দেশে রয়েছে আরও একাধিক রাম মন্দির… চেনেন সেসব?
শুধু উপহারই নয়, দান হিসেবে সরাসরি টাকাও দিয়েছেন অনেকে। আর সেই টাকার অঙ্ক হিসেব করেই দেখা যাচ্ছে, শুধু নগদের হিসেবেই প্রতি দিনে গড়ে এক কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে মন্দিরের। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফেই জানানো হয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহে যেখানে রামের মূর্তি রয়েছে, তার সামনে ‘দর্শন পথ’-এর কাছে চারটি বড় আকারের দানবাক্স রাখা হয়েছে, যেখানে ভক্তরা দান করতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে ১০টি কম্পিউটারাইজড কাউন্টার, যেখানে অনুদান দেওয়া যায়। সরাসরি মন্দিরে দান করা ছাড়াও অনলাইন এবং চেক মারফতও জমা পড়ে দানের টাকা। এই দুই পদ্ধতিতে এখনও পর্যন্ত জমা পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। দানবাক্স এবং কাউন্টার মিলিয়ে জমা পড়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি ছুঁয়েছে। অর্থাৎ এই কদিনে দিনে চেক, অনলাইন এবং দানবাক্স মিলিয়ে মোট ১১ কোটি টাকারও বেশি দান এসেছে রামলালার ঘরে। আর সেই হিসেবই প্রকাশ্যে এল এবার।