গণপতি বন্দনায় মাতোয়ারা গোটা দেশ। সিদ্ধিদাতাকে সাদরে বরণ করে পুজো-পাঠে মগ্ন ভক্তরা। আর তার মধ্যেই অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পুনে। ৩৫,০০০ মহিলা একযোগে স্তোত্রপাঠ করে বন্দনা করলেন বিনায়কের। আসুন শুনে নিই সেই মহোৎসবের কথা।
তিনি বিঘ্নহর্তা, সিদ্ধিদাতা। আর তাই সব পুজোর গোড়াতে হয় তাঁরই স্মরণ। সেই সিদ্ধিদাতার পুজোতে গোটা দেশই মাতোয়ারা। বাল গঙ্গাধর তিলক মহারাষ্ট্রের প্রেক্ষিতে গণেশ আরাধনার সঙ্গে স্বদেশপ্রেম জুড়ে যে গণ উৎবের রূপ দিতে চেয়েছিলেন, তা আজ সারা দেশেই প্রসারিত। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, গোটে দেশই গণেশপুজোর সংস্কৃতিকে বরণ করে নিয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই জন্ম নিল অভূতপূর্ব এক দৃশ্য। প্রায় ৩৫,০০০ মহিলা একযোগে স্তোত্রপাঠ করে বন্দনা করলেন বিনায়কের।
আরও শুনুন: ‘ইশকিয়া গণেশ’… প্রেমের বিয়ে আটকালে এই মন্দিরে পুজো দিলেই কেল্লাফতে
ঘটনাটি ঘটেছে পুনের ‘শ্রীমন্ত দগদুশেঠ হালওয়াই গণপতি’ মন্দিরে। এমনিতে এই মন্দির সিদ্ধিদাতার ভক্তদের কাছে বিখ্যাত। সারা বছরই বহু ভক্ত সমাগম এই মন্দিরে। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে সাড়ম্বরে আয়োজন করা হয়েছে গণপতি মহোৎসবের। মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকেই ১০ দিন ব্যাপী উৎসব করা হয়। আর তারই অংশ হিসাবে দেখা গেল ৩৫ হাজার মহিলার স্তোত্রপাঠ। গণপতির গুণ গেয়ে ‘অথর্বশীর্ষ’ পাঠ করলেন তাঁরা।
আরও শুনুন: গজমুখ নয়, এই মন্দিরে মানুষের মতো রূপেই পূজিত হন গণেশ
এমনিতে গণেশ পুজোয় মহিলারা অংশগ্রহণ করেই থাকেন। তবে, তা মূলত বাড়ির পুজোয়। মহারাষ্ট্র অঞ্চলে গণেশ পুজো সর্বজনীন উৎসব। আর তাই পুজোর আনন্দ সকলেরই। তবে পুজোপাঠের মূল দায়িত্ব সাধারণত পুরুষ পুরোহিতের উপরই ন্যস্ত থাকে। সেই নিরিখে মহিলাদের এই স্তোত্রপাঠ নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। এক কালে মহিলাদের পুজোয় অংশগ্রহণেই মানা ছিল। সংস্কারের সেই বেড়া ক্রমে ঘুচেছে। এখন অনেক পুজোতেই মহিলাদের পৌরহিত্য করতে দেখা যায়। মহারাষ্ট্রের এই বিখ্যাত মন্দিরে মহিলাদের স্তোত্রপাঠ তাই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত হয়েই থাকল।