চারিদিকে জ্যাম। হেঁটে এগোনোর মতো রাস্তাও নেই। কুম্ভের আবহে গোটা প্রয়াগের অবস্থা খানিকটা এরকমই। আর তাতে বিয়ে অবধি বাতিল করতে হচ্ছে অনেককে। ঠিক কেম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ! দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা হাজির হচ্ছেন প্রয়াগে। সংখ্যায় কয়েক কোটি। কেউ আসছেন ট্রেনে চড়ে, কেউ আসছেন গাড়িতে। এছাড়া বাস, অটো রয়েছেই। সবমিলিয়ে চরম যানজট গোটা প্রয়াগ জুড়ে। আর তাতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন প্রয়াগের বাসিন্দারা।
এমনিতে প্রতিবছর কুম্ভের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন এই শহরের মানুষজন। ধর্মীয় কারণে তো বটেই, পাশাপাশি ব্যবসার জন্যও কুম্ভ আদর্শ ঠিকানা। আর এবারের কুম্ভ তো সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। মহাকুম্ভের টানে এমন অনেকেই হাজির হয়েছেন মেলায় যারা প্রথমবার প্রয়াগে পা রাখলেন। সকলেই যে দিনের দিন ফিরে যাচ্ছেন তা নয়। মেলায় থাকছেন, শহর ঘুরে দেখছেন, সবই হচ্ছে। তাতে শহরবাসীর বাজেহাল অবস্থা। অন্যান্য সময় যেটুকু রাস্তা যেতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, কুম্ভের আবহে সেই রাস্তা পেরোতেই সময় লাগছে কয়েক ঘণ্টা। স্কুল-কলেজ লাটে উঠেছে। এমনকি বেজায় সমস্যায় পড়েছেন নতুন বর। বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে, এদিকে গাড়ি আটকে জ্যামে। সম্প্রতি এক সাংবাদিক এই নিয়েই সোশাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেন। জানান, প্রয়াগের জ্যামে আটকে বীভৎস অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। সেইসঙ্গে উল্লেখ করেন বিয়ে বাতিলের বিষয়টা। আসলে, ওই জ্যামে প্রায় ২০ টি বিয়ের গাড়ি আটকে ছিল বলে জানান ওই সাংবাদিক। তার মধ্যে জ্যাম কাটিয়ে মাত্র ২ টো গাড়ি বেরোতে পেরেছিল।
এই কথা সোশাল মিডিয়ায় চাউর হতেই হইচই পড়ে যায়। অনেকেই দাবি জানান, এই জ্যামের কারণে বিয়ে বাতিল করতে হচ্ছে। বিষয়টা আদৌ সত্যি কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। তবে কুম্ভের পথে জ্যামের ব্যাপারটা যে মিথ্যা নয়, তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে বলাই যায়। তাতে সমস্যাও হচ্ছে রীতিমতো। আসলে, নেটদুনিয়ার প্রচারের আলোয় কুম্ভ এতটাই আলোকিত হয়ে পড়েছে, সেখানে এই ধরনের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সকলেই যে পুণ্যের টানে কুম্ভে ছুটছেন তাও নয়। কেউ কেউ আসছেন স্রেফ নিজেকে জাহির করতে, রিল বানিয়ে নিজের কৃত্তিত্ব ফলাতে। তাতে জ্যাম বাড়ছে শহরে। আর সমস্যা বাড়ছে সেই শহরের সাধারণ মানুষের।