অযোধ্যায় তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। কত মানুষ সেখানে পরিশ্রম করেছেন। প্রতিদিন বহু মানুষ সেই মন্দির পরিচালনার নানা কাজে নিযুক্ত। তবে, সেই সু্যোগ কি সবার আসে? আপাত ভাবে নয়, কিন্তু সত্যি বলতে, ঘরে বসে নিজের হাতে রাম মন্দির তৈরির ভাবনা একেবারে আকাশকুসুম কল্পনাও নয়। তবে, কীভাবে তা সম্ভব হয়ে উঠছে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভারতবর্ষ সাধনার দেশ। এ-দেশের মানুষ বরাবরই ধর্মপ্রাণ। আর তাই ধর্মীয় কারণে যুক্ত হতে বরাবরই বেশিরভাগ মানুষ আগ্রহী। এদিকে ব্যস্ত জীবনের রুটিন গিয়েছে বদলে। ফলে, চাইলেও যে মন্দিরে কেউ প্রতিদিন যাবেন বা মন্দিরের কাজে নিজেকে সঁপে দেবেন, এমনটা সচরাচর হয়ে ওঠে না। তবে, এমন কি কোনও পথ নেই, যাতে ব্যস্ততা সামলেও এই কাজটি করা যায়? প্রযুক্তি বলছে, নিশ্চিত করা যায়। আর যা নাকি নিছক খেলাধূলা, তা দিয়েই মনের বাসনা পূরণ করতে পারেন কেউ। অতএব ক্রমশ তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাম মন্দির তৈরির মোবাইল গেম।
আরও শুনুন: বাংলার আছে নিজস্ব ‘অযোধ্যা’, এখনও বইছে ক্ষীণস্রোতা ‘সরযূ’
বাইরের খেলাধূলা যত কমেছে, মোবাইল গেমের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে ততই। এ অবশ্য আজকের কথা নয়। নানা কিসিমের মোবাইল গেমে আজকাল মানুষ ব্যস্ত থাকেন। সেই গেমের দুনিয়ায় নয়া আবির্ভাব এই আধ্যাত্মিক গেমের। আর যাকে বলে আবির্ভাবেই একেবারে বাজিমাত, হয়েছে ঠিক তাই-ই। সরযূর পারে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার পরই এক প্রযুক্তি সংস্থা এই গেম বাজারে আনে। দেখা যাচ্ছে, অল্প দিনের মধ্যেই তা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ‘রাম মন্দির গেম’-এ ভক্ত হয়ে উঠেছেন প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ মানুষ এই গেমিং অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। কী করা যায় এখানে? এই গেম-এ নিজের মনের মতো করে নিজের হাতেই রাম মন্দির নির্মাণ করা যাবে। যাবতীয় কাজ সেখানে করা যাবে। অর্থাৎ অযোধ্যা থেকে বহুদূরে বসেও রাম মন্দির তৈরির কাজে ভারচুয়ালি নিজেকে নিযুক্ত রাখা যাবে। এরকম সুযোগ থাকার দরুনই এই গেমের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
আরও শুনুন: রায়সাহেবের রামদর্শন– থাকেন ‘জটায়ু’, দুষ্টু লোকের পাশেই চলে রামের ভজন
তবে, একমাত্র এটিই নয়, এরকম আরও কয়েকটি গেম ইতিমধ্যেই আছে। যার মধ্যে একটি হল ‘রাম মন্দির দর্শন গেম’। ঠিক রাম মন্দির ঘুরতে গেলে যা যা অভিজ্ঞতা হতে পারে, তারই একটা ভারচুয়াল সংস্করণ বলা যেতে পারে এই গেমটিকে। এ ছাড়া আছে ‘শ্রীরাম টেম্পল অ্যাপ’। এই দুটি গেমিং অ্যাপের জনপ্রিয়তাও ক্রমশ বাড়ছে। তথ্য বলছে, গুজরাট, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে গেম ডাউনলোডের সংখ্যা বেড়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের আবহেই এই সংখ্যা বেরেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই আরও নতুন গেম আনার ভাবনা সংস্থাগুলির। দেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে রাম মন্দির যে একটি বড় প্রভাব ফেলেছে, এই তথ্য তা স্পষ্টই বলে দিচ্ছে।