যৌনজীবনে রোমাঞ্চ আনতে পারে মিলনের জায়গা পরিবর্তন। পরিচিত বেডরুমের বাইরে শরীর নিয়ে খেলা আরও জমে উঠতে পারে। কিন্তু সেই জায়গা কোথায় হবে? হদিশ দিতে পারে রাশিচক্রই! ঠিক কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অন্ধকারের ঘেরাটোপেই জমে ওঠে যৌনতার মৌতাত! গড় অভ্যাস ধরলে বলা যায়, আঁধারে আদরেই বেশি স্বচ্ছন্দ মানুষ। তবে স্রেফ আঁধার নয়, যোউন্তায় রোমাঞ্চ আনে পরিবেশও। চেনা গন্ডির মধ্যেই নিজেকে মেলে ধরতে কেউ সবথেকে বেশি স্বছন্দ্য বোধ করেন। আবার কেউ কেউ পরিবর্তনে বিস্বাসী। তবে রাশিচক্রের সঙ্গেও যৌনতার জায়গা নির্বাচনের সম্পর্ক রয়েছে। অন্তত জ্যোতিষশাস্ত্রের দাবি তেমনই।
আরও শুনুন: এক সঙ্গমেই বহুবার তৃপ্তি পেতে পারেন নারীরা, কামসূত্রেই আছে হদিশ
জন্মের ক্ষণ অনুযায়ী ঠিক হয় রাশি। চক্রের ১২টি উপাদানের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। ভাগ্যগণনা বাদ দিলেও, রাশি অনুযায়ী যে কারও চরিত্রের ধরণ বলে দিতে পারেন জ্যোতিষীরা। সেই প্রসঙ্গেই এবার যৌনতা জুড়েছে। একথা বলাই বাহুল্য, নারী-পুরুষ সকলেই চান তাঁদের যৌন জীবন আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠুক। দুজনেই যেন দুজনাতে তৃপ্ত হন, এমনটাই চান সকলে। সবক্ষেত্রে হয়তো ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয় না। শারীরিক মানসিক নানা কারণে যৌন জীবনে সমস্যা আসতেই পারে। এই সবকিছু ঠিক করার উপায় হতে পারে কোথায় যৌনতা হচ্ছে সেই জায়গা ঠিকমতো নির্বাচন করলে। আর সেই হদিশ দিতে পারে রাশির অবস্থান।
আরও শুনুন: মৌন যৌনতায় জোয়ার আনা চকোলেট বিকোচ্ছে বাজারে, খাঁটি না বুজরুকি?
রাশিচক্রের শুরুতেই রয়েছে মেষ। জ্যোতিষমতে এই রাশির জাতক-জাতিকার উত্তেজনা অনেকটা বেশি হয়। তাই এঁরা যদি খোলা আকাশের নীচে যৌনতা সারেন, তাহলে মাত্রা আলাদা জায়গায় পৌঁছাতে পারে। এবার বৃষ। জ্যোতিষমতে এঁরা ভীষণভাবে বিলাসিতা উপভোগ করতে পছন্দ করে। তাই বৃষ রাশির যৌনতার সেরা জায়গা হতে পারে দামি হোটেলের বিছানা বা নরম গদি। ঠিকমতো আরাম পেলে এঁরা যৌনতায় ঝড় তুলতে পারেন বলেই দাবি জ্যোতিষশাস্ত্রের। চক্রের পরবর্তী রাশি মিথুন। চরিত্রগত ভাবে এদের মধ্যে ভীষণ বৈপরীত্য ভাব কাজ করে। তাই এদের যৌনতার সেরা ঠিকানা ক্লাব বা ডিস্কো। এমনিতেই অনেকে অইসব জায়গায় ঘনিষ্ট হতে বেশ পছন্দ করেন। মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা সেই তালিকায় উপরের দিকেই থাকবেন। কর্কট রাশির ক্ষেত্রে আবেগের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই তাদের জন্য যৌনতার ঠিকানা হতে পারে নির্জন নদীর ধার। এদিকে সিংহরশির যৌনতা সারার ঠিকানা কোনও সুন্দর বাড়ি হতে পারে। এঁরা অত্যন্ত শৌখিন হন। তাই এই ধরনের জায়গায় যৌনতা সারলে তা বেশ উত্তেজনায় ভরে থাকবে বলেই দাবি জ্যোতিষশাস্ত্রের। তালিকায় এরপরেই রয়েছে কণ্যারাশি। এঁরা যদি লাইব্রেরি বা ওই ধরনের কোথাও যৌনতা সারেন তবে তা বেশ রোমাঞ্চকর হতে পারে। নিদেনপক্ষে চারিদিকে অনেক তাক বা বই রয়েছে এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যৌনতার জন্য। তুলারাশির পছন্দ নির্জন জায়গা। তা যদি কোনও সুন্দর ফুলের বাগান হয় তাহলে তো কথাই নেই। আবার বৃশ্চিকদের পছন্দ অ্যাডভেঞ্চার। তাই এদের যৌনতার ঠিকানা হতে পারে অচেনা জঙ্গল বা প্রকৃতির মাঝে কোনও নির্জন স্থান। ধনুরাশির যৌনতার ঠিকানা আবার মাটিতে নয়। জ্যোতিষমতে আকাশে যে গ্যাস বেলুন ওড়ে তার মধ্যে যৌনতা সারতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাঁরা। আবার মকর রাশির পছন্দ হতে পারে কর্পোরেট মিটিংরুম। মাঝে একটা টেবিল, তার চারিদিকে চেয়ার, সেখানে যৌনতায় মাতলেই বেশি উপভোগ করবেন এই রাশির জাতক-জাতকারা। কুম্ভ রাশির যৌনতার ঠিকানা হতে পারে রেস্তোরাঁ। যদিও যে কোনও সাধারণ খাবারের দোকানে যৌনতা সারার কথা বলা হচ্ছে না। বেশ ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ হলে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা যৌনতার চরম মুহুর্ত উপভোগ করবেন সহজেই। সবশেষে মীন। এদের যৌনতার ঠিকানাও খোলা আকাশের নীচেই। তবে মাটিতে নয়, নৌকায়। ফাঁকা নদীতে কিংবা বড় জলাশয়ে ভাসমান অবস্থায় যৌনতায় মাতলেই এঁরা খুঁজে পেতে পারেন আসল আনন্দ। তাই রোমাঞ্চ আনতে রাশি অনুযায়ী বিশেষ জায়গায় যৌনতা সারা যেতেই পারে।