পিৎজা খেতে কে না ভালোবাসে! কিন্তু তাই বলে প্রতিদিন? শুনতে অবাক লাগলেও, এক ব্যক্তি প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে পিৎজা অর্ডার দিতেন। টানা ১০ বছর ধরে এমনটা করেছেন তিনি। যার অদ্ভুত প্রতিদানও পেলেন তিনি। ওই দোকানের কর্মীদের জন্যই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন ওই ব্যক্তি। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নিই।
পছন্দের খাবার পিৎজা। তাই রোজই শহরের একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে পিৎজা অর্ডার দিতেন এক ব্যক্তি। এক-দুদিন নয় টানা ১০ বছর ধরে বজায় রেখেছেন এই অভ্যাস। একথা শুনে যে কোনও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ওই ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উলটো। রোজ পিৎজা অর্ডার করার দরুন ওই দোকানের কর্মীদের কাছেও অতি পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। সেই পরিচিতির সুবাদেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি।
আরও শুনুন: কী কাণ্ড! মাছ খেতে গিয়ে বিপত্তি, কাঁটাচামচ কামড়ে ধরল ‘জ্যান্ত মাছ’
কী ঘটেছে ঠিক?
টানা দশ বছর ধরে যিনি রোজ খাবার অর্ডার দিচ্ছেন তাঁকে তো দোকানের কর্মীরা বিশেষ নজরে দেখবেনই। এই ব্যক্তি অর্থাৎ আলেকজান্ডারেরও তেমনই খাতির ছিল ওই পিৎজার দোকানে। হঠাৎ একদিন তাঁর পিৎজার অর্ডার বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে দোকানের কর্মীরা ভেবেছিল উনি হয়তো অসুস্থ বা বিশেষ কোনও কারণে অর্ডার দেননি। কিন্তু একদিন দুদিন করে টানা এগারো দিন পিৎজা অর্ডার দেওয়া বন্ধ রাখেন আলেকজান্ডার। আর এতেই সন্দেহ হয় দোকানের কর্মীদের। তাঁরা ঠিক করেন আলেকজান্ডারের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন। সেই মতো দোকানের এক মহিলা কর্মী হাজিরও হন তাঁর বাড়িতে। প্রথমে বাড়ির বাইরে থেকে দেখে কিছুই বুঝতে পারেননি তিনি। তিনি জানান, ভিতর থেকে টিভির আওয়াজ আসছিল, আলো যে জ্বলছে তা-ও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু বারবার ডাকা সত্ত্বেও ভিতর থেকে কারও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ এইভাবে কাটানোর পর দোকানে ফোন করে সবটা জানান ওই মহিলা। তাঁর কথা শুনে বেশ কয়েকজন মিলে সেখানে হাজির হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। তাঁরাই দরজা খুলে অচেতন অবস্থায় আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডারকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। জানা যায়, অসুস্থই ছিলেন আলেকজান্ডার। ঘটনার দিন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। জানা যায়, হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আলেকজান্ডার। সেই মুহূর্তে তাঁকে উদ্ধার না করলে হয়তো বাঁচানোই সম্ভব হত না। তাই ওই কর্মীরাই যে তাঁকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন একথা বলাই বাহুল্য। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সকলেই ওই দোকনাটির যথেষ্ট প্রশংসা করেছে। তবে এই কাজকে তাঁদের কর্তব্য বলেই মনে করেছেন দোকানের কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীরা।