আগে জিনিস পরে দাম। বিক্রি বাড়ানোর এই কায়দা নতুন নয়। সম্প্রতি এক রেস্টুরেন্ট এই নীতিতেই অদ্ভুত বিজ্ঞাপন সামনে এনেছে। তাঁদের দাবি, ‘এখন খান দাম মেটানোর সুযোগ থাকবে মৃত্যুর আগে অবধি।’ এমন নজির বিজ্ঞাপনের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। তা কোথায় রয়েছে ওই রেস্টুরেন্ট? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দুটো কিনলে একটা ফ্রি কিংবা নির্দিষ্ট অঙ্কের বিলে বিশেষ ছাড়। রাস্তাঘাটে, শপিংমলে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে আমরা সকলেই অভ্যস্থ। অনেকে আবার দোকানের বাইরে লিখে রাখেন, ‘আগে জিনিস পরে দাম।’ সবই বিক্রি বাড়ানোর কৌশল মাত্র। তবে এই সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে নেদারল্যান্ডসের এক পিজ্জা রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন। তাঁদের দাবি, ‘এখন পিজ্জা খান, দাম মেটানোর সুযোগ পাবেন মৃত্যুর আগে অবধি’।
আরও শুনুন: বয়কট থেকে বাঁচতে সংসদ ভবন নিয়ে টুইট! বিরোধীদের তোপের মুখে বলি বাদশা
এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আফটারলাইফ পেমেন্ট’। এমন নামের জন্য আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে বিজ্ঞাপনটি। কারণ ‘আফটারলাইফের’ আক্ষরিক অর্থ হল মৃত্যু পরবর্তী সময়। সেই হিসেবে মনে হবে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ বলতে চাইছে, ‘এখন খান দাম দেবেন মৃত্যুর পর’। তবে ব্যাপারটি ঠিক তেমন নয়। এক্ষেত্রে আফটারলাইফ শব্দটি প্রতীকী অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে মৃত্যুর আগে অবধি দাম মেটানো যাবে, এমনটাই বলতে চেয়েছে ওই সংস্থা। কিন্তু তাও তো কম চমকের নয়! সারাজীবন ধরে দাম মেটানোর সুযোগ থাকবে, এমন অফার আর কোথায় মিলবে? তাই ইতিমধ্যেই এই পিজ্জার বিজ্ঞাপন ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। আপাতত ৬৬৬ জন গ্রাহককে এই সুযোগ দিয়েছে ওই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বলা হয়েছিল, নিজেদের পছন্দের পিজ্জা বেছে নেওয়ার জন্য। যত্ন নিয়ে সেই পিজ্জা তাঁদের বানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু বদলে একটা টাকাও নেয়নি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে দিতেও হবে না টাকা। সারাজীবন সময় থাকবে টাকা মেটানোর। আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এর জন্য দিতে হবে না কোনও অতিরিক্ত টাকাও। একেবারে দায়িত্ব নিয়ে এই দাবি করেছে ওই সংস্থা। তবে এই প্রচার স্রেফ লাইলাইটে থাকার জন্যই। এমনটাই দাবি রেস্টুরেন্ট মালিকের। তাঁর মতে, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে কত কিছুই না করতে হয়। তাই এই অদ্ভুত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকলের নজরে আসতে চাইছেন তাঁরা। বাস্তবে হয়েছেও তাই। অনেকেই এই অফারের লোভে রেস্টুরেন্টে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। এমনকি নেটদুনিয়াতেও এই নিয়ে বিস্তর হইচই হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায় ওই রেস্টুরেন্ট এখন রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছে। অর্থাৎ যে কারণে এই অদ্ভুত বিজ্ঞাপন তাঁরা করেছেন, তা অনেকটাই সফল হয়েছে বলে দাবি।