বাসে ট্রেনে পকেটমারির সমস্যা নতুন নয়। একটু অসাবধান হলেই চোখের নিমেষে পকেট ফাঁকা! কিন্তু মাঝ সমুদ্রেও কি পকেটমারি হওয়া সম্ভব? বিশেষত যেখানে কোনও মানুষ নেই! সাম্প্রতিক এক ঘটনা জানাচ্ছে অবশ্যই সম্ভব। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নিই।
ঘুরতে বেরিয়ে কতই না অভিজ্ঞতার সাক্ষী হই আমরা। ফোন বা ক্যামেরা হারিয়ে যাওয়া সেক্ষেত্রে কোনও নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু কখনও শুনেছেন, মাঝসমুদ্রে ফোন কেড়ে নিয়ে পালিয়েছে একটা মাছ? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে ধরা পড়েছে এমনই দৃশ্য।
ঘটনাটি ফিলিপাইনসের। সেখানকার স্বচ্ছ নীল জলের সমুদ্র পর্যটকদের বরাবরের আকর্ষণ। ফিলিপাইনসে বেড়াতে গেলে স্পিডবোটে চেপে মাঝসমুদ্রে ঘুরতে বেরোন অধিকাংশ পর্যটক। এক্ষেত্রে সামুদ্রিক প্রাণীর যেমন দেখা মেলে, তেমনই সমুদ্রের পরিবেশ মন ভালো করে দেয়। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। সম্প্রতি মাঝসমুদ্রে বিপাকে পড়ে এমনটাই ধারণা এই মহিলার। একটি ভাইরাল ভিডিওতে তাঁর বিপাকে পড়ার কারণ সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রে বন্ধুদের সঙ্গে প্রমোদভ্রমণে বেড়িয়েছেন তিনি। নীল জলের বুক চিড়ে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছে তাঁদের স্পিডবোট। মহিলা ও তাঁর এক সঙ্গী বসে আছেন একদিকের সিটে, আর তাঁদের ক্যামেরা বন্দি করছেন উলটদিকে থাকা আরেক ব্যক্তি। হঠাত নৌকার উপর দিয়ে কিছু একটা উড়ে গেল। আর তারপরই মহিলার কোলের উপর থাকা ফোনটি উধাও! ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়ে যান সকলেই। প্রথমেই কিছু বুঝতেও পারেননি কেউ। আসল সত্যি সামনে আসে ভিডিওটি স্লো করার পর। দেখা যায়, সেই উড়ে যাওয়া বস্তু আর কিছু নয়, বরং একটা উড়ুক্কু মাছ। সমুদ্রে এই মাছের দেখা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মাছ যে কারও ফোন নিয়ে পালাতে পারে এমনটা কেউই ভাবেননি।
সেই মূহুর্তে বেজায় বিপাকে পড়েন ওই মহিলা। ভেবেছিলেন সাধের ফোনটা বোধহয় আর পাবেনই না। কিন্তু তেমনটা হয়নি। যে ফোন চুরি করেছে, তার তো আর ফোন নিয়ে বিশেষ কাজ নেই! তাই সেই ফোন আবারও সমুদ্রের পাড়ে ফিরিয়ে দেয় উড়ুক্কু মাছ। কোনও এক পথচারী সেই ফোন কুড়িয়ে মহিলাকে ফেরত দেন। তবে সেই ফোন আর ব্যবহার করার মতো অবস্থায় ছিল না। বাধ্য হয়েই অন্য একটা ফোন কিনতে হয় মহিলাকে। এমন ঘটনা যে সত্যিই বিরল এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন না কেউই। এমনকি ওই মহিলাও গোটা ব্যাপারটায় বেজায় অবাক হয়েছেন। একে তো এইভাবে ফোন চুরি হওয়া, তার ওপর সেই ফোন ফেরত পাওয়া, সব মিলিয়েই তাঁর কাছে চরম অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে এই ঘটনা।