চাকরি পেয়েছে বিড়াল। তাও আবার নামী সংস্থায়। এমনটা কখনও শুনেছেন? গল্পে বা সিনেমায় নয়, বাস্তবেই হচ্ছে এমন কাণ্ড। নিয়মিত বেতন নিয়ে কাজে যাচ্ছে বিড়াল। কোন দেশে চালু হল এমন নিয়ম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
AI-র জেরে কাজ হারাবেন অনেকে। এই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বাস্তবে হয়েওছিল তাই। তবে সবর্ত্র ছবিটা এক নয়। এমনও এক দেশ রয়েছে যেখানে শুধু মানুষ বা রোবট দিয়ে কাজ সামলানো যাচ্ছে না। ব্যবহার করতে হচ্ছে বিড়ালদেরও।
এমনিতে মানুষের কাজে পশুর ব্যবহার নতুন কিছু নয়। চাষবাসের কাজ হোক বা গাড়ি টানা, নানা ক্ষেত্রে পশু ব্যবহার করা হয়। মূলত ষাঁড়, ঘোড়া কিংবা আকারে বড় এমন পশুই কাজে লাগানো হয়। ব্যতিক্রম চিন। এই দেশে বিশেষ কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে বিড়ালকে। একেবারে মাইনে নিয়ে কাজ করছে বিড়ালের দল। সে দেশে একাধিক সংস্থায় এমন ছবি ধরা পড়েছে। তবে মাইনে হিসেবে টাকা নয়, নিয়মিত খাবার পেলেই খুশি মার্জার বাহিনী। কথা বলছি, চিনের বিখ্যাত ‘পেট ক্যাফে’ সম্পর্কে। মূলত এখানেই কাজ পায় বিড়ালরা। খাবারের বিনিময়ে ক্যাফের ভিতর ঘুরে বেড়ানোই কাজ। আসলে, এইসব ক্যাফেতে সময় কাটাতে আসা মানুষজন বিড়াল দেখলে বড় খুশি হন। বলা ভালো, বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটাতেই এখানে হাজির হন অনেকে। এমনি এমনি ঢোকা যাবে না। দিতে হবে এন্ট্রি ফি। তারপর যতক্ষণ ইচ্ছা বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটাও। ইচ্ছা হলে খাবার খাও।
প্রশ্ন হচ্ছে এইসব ক্যাফেতে কাজ পায় কোন বিড়াল?
রাস্তার বিড়াল অবশ্যই নয়। পোষ্য বিড়ালের জন্যই এই ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। তাতে সুবিধা অনেক। এক তো দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বিড়াল বাড়ির বাইরে থাকবে। তাতে ব্যক্তিগত কাজ করে নেওয়া যাবে নিশ্চিন্তে। অন্যদিকে বিড়ালের একবেলার খাবার চিন্তা করতে হবে না। ক্যাফের তরফেই সে ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বিড়ালের মালিক ওই নির্দিষ্ট ক্যাফেতে গেলে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন। তাই অনেকেই নিজেদের পোষ্যকে কাজে পাঠান। তবে কাজ পেতে গেলে বিড়ালকে পরীক্ষাও দিতে হবে। কোন বিড়াল মানুষের সঙ্গে কতটা মিশছে, আর কোনও বদগুণ রয়েছে কিনা সেসব ভালো ভাবে দেখে নেয় ক্যাফে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এই পেট ক্যাফের সংখ্যা রীতিমতো বেড়েছে। সে দেশের বিভিন্ন শহরে একাধিক পেট ক্যাফে রয়েছে। সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে কিছুক্ষণের জন্য এই ক্যাফেতে হাজির হন কেউ কেউ। বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মন ভালো করে ঘরে ফেরেন। এদিকে বিড়ালটিও সারাদিন অনেকের সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়। পাশাপাশি মালিকও নিশ্চিন্তে থাকেন।