প্রায় অসাধ্য সাধন করল পোষ্য কুকুর। মালকিনের জন্য চাই কিডনিদাতা। তবে মেলাতে হবে নানারকম শারীরিক শর্ত। আর তাই দাতা খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্যই ছিল। ২২ লক্ষের মধ্যে সেই একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করল মহিলার পোষ্য। আসুন শুনে নিই সেই গল্প।
কুকুরের ঘ্রাণশক্তি তীব্র এবং প্রখর। এই গুণকে অনেক জায়গাতেই কাজে লাগানো হয়। বিশেষত অপরাধী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগ এভাবেই কাজে লাগায় সারমেয়দের। পোষ্য কুকুরের সেই ঘ্রাণশক্তির জেরেই প্রাণ বাঁচল এক মহিলার।
আরও শুনুন: বলিহারি প্রতিশোধ! প্রেমিকার বাবার উপর রাগ, ফোন চুরি করে যোগীকে মৃত্যুর হুমকি যুবকের
কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে উঠেছিল ওই মহিলার। দাতার খোঁজও করছিলেন তিনি। কিন্তু সহজে কিডনিদাতার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। কেননা এক্ষেত্রে শারীরিক কারণেই নানা শর্ত পূরণ করতে হয়। এর পরের ঘটনা প্রায় গল্পের মতোই। একদিন মহিলা তাঁর পোষ্যকে নিয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হঠাৎ তাঁর পোষা ডোবারম্যান অপরিচিতা এক মহিলার কাছে দৌড়ে যায়। প্রায় ১০০ গজ দূরে থাকা সেই মহিলার কাছে কেন যে গিয়েছিল পোষ্যটি, তা তখন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি তার মালকিন। অনেক ডাকাডাকিতেও সে ফেরে না। পরে মালকিন নিজে গিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনে। অপরিচিতার সঙ্গে তাঁর আলাপ পরিচয়ও হয়।
আরও শুনুন: হিজাব পরার অধিকার চেয়ে ছাড়তে চেয়েছিলেন পড়াশোনা, দ্বাদশের পরীক্ষায় প্রথম সেই ছাত্রী
কথায় কথায় সেই মহিলা জানতে পারেন যে,পোষ্যের মালকিন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দাতা খুঁজছেন। ঘটনাচক্রে, এই মহিলাও নিজেকে কিডনি দান করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা পরস্পরের ফোন নম্বর নেন। এরপর অপরিচিতা এই মহিলা নিজের শারীরিক পরীক্ষা করেন। আর আশ্চর্য ভাবে সব শর্ত মিলে যায়। অর্থাৎ, পোষ্যের মালকিনের কিডনিদাতা হতে পারেন তিনিই। চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যাপারটা খুবই দুরূহ। সব শর্ত মিলিয়ে এরকম কিডনিদাতার পাওয়ার সম্ভাবনা ২২ লক্ষে এক জন। সাধারণ ভাবে এরকম কিডনিদাতা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে তা সম্ভব হয়েছে ওই পোষ্যের অসামান্য ঘ্রাণশক্তির দরুন। কী কায়দায় যে সে এতজনের ভিতর কিডনিদাতাকে খুঁজে বের করেছিল তা রীতিমতো রহস্য। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর এখন সুস্থই আছেন লুসি নামের ওই মহিলা। আর তাঁর এই নতুন জীবনের পিছনে অনেকখানি অবদান রয়ে গেল তাঁর পোষ্য ডোবারম্যানের।