আমুল গার্লের মতোই এই শিশুটিও আমাদের চিরচেনা। বিস্মিত দৃষ্টি নিয়ে পার্লে জি বিস্কুটের প্যাকেট থেকে এতদিন ধরে আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকেছে সে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেল, শিশুটির জায়গায় হাজির এক হাসিমুখ যুবক। তাহলে কি লোগোই বদলে ফেলল নামী বিস্কুট সংস্থা? কী কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
একটি নিরীহ প্রশ্ন। তার জেরে কি একেবারে লোগো বদলে ফেলার পথেই হাঁটছে বিখ্যাত বিস্কুট সংস্থা? সম্প্রতি পার্লে জি বিস্কুটের প্যাকেটের একটি ছবি দেখে এমন জল্পনাই উসকে উঠল নেটদুনিয়ায়। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, চিরচেনা শিশুটি বদলে গিয়েছে এক হাসিমুখের যুবকে। না, যে কোনও পোস্ট বা আলটপকা কোনও পেজে এমন ছবি পোস্ট করা হয়েছে, তাও নয় কিন্তু। খোদ পার্লে জি-র নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে নতুন ছবি-সহ প্যাকেটের একটি ছবি ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। আর সেই ছবি দেখেই তাজ্জব সকলে। কে এই যুবক? কেনই বা ছবিটি বদল করল সংস্থা? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরছে নেটিজেনদের মনে।
আরও শুনুন: ছোট মুখে বড় কথা! ডা’কুনহার আমূল-বালিকাই বিজ্ঞাপনের ‘টেস্ট অফ ইন্ডিয়া’
পার্লে জি বিস্কুটের ওই শিশুটির জনপ্রিয়তা কম নয়। সে কারণে মেয়েটি আসলে কে, তা নিয়েও জল্পনা কল্পনা চলেছে অনেকদিন। সেখানে তার ছবি পালটে যাওয়া নিয়ে যে চাঞ্চল্য ছড়াবে, তা তো বলাই বাহুল্য। আসলে এসবের নেপথ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার এক জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের পোস্ট। জেরভান জে বানশাহ নামের ওই যুবক সম্প্রতি একটি রিল শেয়ার করেছিলেন। রিলের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে ছিল ‘রাম লাখন’ সিনেমার ‘এ জি ও জি, লো জি, শুনো জি’ গানটি। সেখানেই তিনি ফ্যানদের কাছে মজার ছলে প্রশ্ন করেন, যদি কখনও পার্লে-র মালিকের সঙ্গে দেখা হয়, তাহলে তাঁকে কী বলে ডাকবেন? পার্লে স্যার, মিস্টার পার্লে নাকি পার্লে-জি?
আরও শুনুন: ডাঙায় থাকার খরচ বেশি, বাড়িঘর বিক্রি করে জলেই সংসার পাতলেন যুগল
এই রিলটি নেটিজেনদের পছন্দ হয়েছিল তো বটেই, তাঁদের বিপুল শেয়ারের দৌলতে তা সংস্থারও নজরে আসে। এর উত্তরে পার্লে জি-র অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকেই বলা হয়, ‘বানশাহ জি, আপনি আমাদের ও জি বলে ডাকতেই পারেন।’ এরপরেই সংস্থার তরফে একটি বিস্কুটের প্যাকেটের ছবি পোস্ট করা হয়, যেখানে দেখা যায়, প্যাকেটে শিশুটির ছবির বদলে রয়েছে বানশাহের ছবি। সাধারণত নেটদুনিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারেরা কথায় কাজে অন্যদেরই চমকে দিয়ে থাকেন। সেখানে নিজে এমন চমক পেয়ে যে ভারী খুশি হয়েছেন ওই যুবক, তা খোলাখুলিই প্রকাশ করেছেন তিনি। ছোটবেলার নস্টালজিয়ার থেকে এভাবে ফিরতি উপহার পেয়ে সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি জেরভান বানশাহ।