মন্দির বা মসজিদ জনগনের জন্য তৈরি। এগুলিকে নিজস্ব সম্পত্তি বলে দাবি করতে পারেন না কেউই। এমনকি কোনও পুরোহিত বা ইমামও তাঁদের নিত্য উপাসনার জায়গাকে বাসস্থান বলে দাবি করতে পারেন না। সম্প্রতি একটি মামলার রায়দানের পর এমনই মন্তব্য করলেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি। কোনও মামলার প্রসঙ্গে এমন বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
মন্দির-মসজিদকে নিজেদের স্থায়ী বাসস্থানে পরিণত করছেন সেবায়েতরা। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি। একইসঙ্গে এই উপাসনাস্থলগুলি যে সর্বসাধারণের জন্য, সে কথাও মনে করিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: মোদিকেই অস্কারজয়ী ‘RRR’-এর পরিচালক বলে দাবি করবেন না যেন! বিজেপিকে খোঁচা বিরোধী নেতার
ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। দিল্লির এক জনপ্রিয় মসজিদের পাশে বাড়ি বানানোর দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাহির আহমেদ। সেই মামলার পর্যবেক্ষণে অদ্ভুত তথ্য উঠে আসে বিচারকের সামনে। জানা যায়, মামলাকারী আসলে ওই জায়গার মালিকই নন। স্রেফ বহুদিন ধরে এক জায়গায় থাকার দরুন তিনি ওই মসজিদ সংলগ্ন জায়গাটিকে নিজের বলে ধরে নিয়েছেন। যদিও তিনি সাধারণ কেউ নন। ওই মসজিদের ইমামের ছেলে তিনি। তাই ওই জায়গার উপর তাঁর অধিকার আছে বলেই দাবি জানিয়েছিলেন জাহির। কিন্তু আদালত সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে এই কাজের দরুন তাঁকে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।
আরও শুনুন: ‘নাটু নাটু’ কি শুধু নাচের গান! অস্কার জয়ের পর আসল অর্থ খুঁজছে দেশবাসী
তবে শুধু মসজিদ নয়। এই প্রসঙ্গে বলার সময় মন্দিরের কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। তাঁর মতে, মন্দির বা মসজিদ উভয় ধর্মস্থানকেই বেআইনি ভাবে নিজেদের বাসস্থানে পরিণত করেছেন পুরোহিত-ইমামরা। একইসঙ্গে যারা মন্দিরের নিত্যনৈমত্তিক কাজ করেন, তাঁদের নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তাঁর দাবি, এই ধরনের ব্যক্তিরা মন্দিরে থাকতে পারেন, কিন্তু তাকে বাসস্থানে রূপান্তরিত করার কোনও অধিকার তাঁদের নেই। বিচারক মনে করিয়ে দিয়েছেন, মন্দির-মসজিদ শুধুমাত্র জনগণের জন্য বানানো হয়। তাকে অবৈধভাবে বাসস্থানে হিসাবে দখল যে কোনও ভাবেই করা যায় না, সাফ কথা আদালতের।