বিয়ে করেছেন তিনজনকে। রয়েছে ৬০ সন্তান। তবুও সন্তানের আশ মিটছে না এই পাকিস্তানি ব্যক্তির। আরও সন্তান পেতে চান তিনি, এমনটাই জানালেন ওই ব্যক্তি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, অল্পেতে সাধ মেটে না। কিন্তু একটি দুটি নয়, ৬০টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও সন্তানের সাধ মেটেনি তাঁর, এমনটাই জানালেন পাকিস্তানের এক ব্যক্তি। না না, এই সময়ে দাঁড়িয়ে মহাভারতের গান্ধারীর মতো শতপুত্রের জননী হওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। এই ব্যক্তিও কোনও এক মহিলার গর্ভে এতজন সন্তানের জন্ম দেননি। তিন স্ত্রী রয়েছে তাঁর। তবে তারপরেও, সন্তানের সংখ্যার নিরিখে প্রায় মহাভারতের যুগেই পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। বলা যেতে পারে, ‘অধিকন্তু ন দোষায়’, অর্থাৎ প্রয়োজনের বেশি হলেও ক্ষতি নেই, এই আপ্তবাক্যকেই ধ্রুব সত্যি বলে মেনেছেন এই ব্যক্তি। তাই জীবনে তিন সঙ্গিনী আর ষাট সন্তান থাকার পরেও মন ভরেনি তাঁর। বরং ষাটতম সন্তানকে পৃথিবীতে আনার পরেও তিনি সাফ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও সন্তান পেতে চান তিনি। আর তার জন্য নতুন মা, অর্থাৎ চতুর্থ স্ত্রী খুঁজতেও আগ্রহী ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: ঘরে ২০ জন স্ত্রী, বিয়ে নিজের কিশোরী কন্যাকেই, বিকৃত যৌনতার দায়ে গ্রেপ্তার স্বঘোষিত ‘গুরু’
পাকিস্তানে কোনও পুরুষের একাধিক বিয়ে করা সামাজিকভাবেই স্বীকৃত। ফলে তিনজন স্ত্রী থাকা সেখানে নতুন কিছু নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর কিছু না হোক, আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করেও ছোট পরিবারকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকে। সেখানে কোন এক ব্যক্তির এত সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনাটি রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রেই প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনা।
আরও শুনুন: কমবয়সি মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের ঝোঁক, পুরুষদের প্রবণতাকে তুলোধোনা মিয়া খালিফার
জানা গিয়েছে, সর্দার জান মহম্মদ খান খিলজি নামের ওই ব্যক্তির বয়স বর্তমানে ৫০ বছর। তিনি বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েত্তার বাসিন্দা। পেশায় চিকিৎসক ওই ব্যক্তি এত বড় পরিবার থাকার কারণেই এলাকায় বেশ বিখ্যাত। সম্প্রতি ষাটতম সন্তান হাজি খুশহাল খানের জন্মসংবাদও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সকলের কাছেই তিনি অনুরোধ রেখেছেন, তাঁর সম্ভাব্য স্ত্রী নির্বাচনের জন্য। যদিও তাঁর তিন স্ত্রী এখনও সন্তানের জন্ম দিতে উৎসুক, তবে এবার নতুন স্ত্রীর গর্ভেই আরও সন্তানের জন্ম দিতে চান বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।