ঐশ্বর্যার মতো দেখতে, এমন কথা শুনলেই চটে লাল হয়ে যান এই পাক তরুণী। এমনিতে রূপের প্রশংসা করতে অনেকসময়ই রুপোলি পর্দার কোনও নায়িকার সঙ্গে তুলনা টানা হয় অনেকের। কিন্তু এই তরুণীর সেসব এক্কেবারে না-পসন্দ। কেন? শুনে নেওয়া যাক।
যে সে কারও সঙ্গে নয়, একেবারে খোদ বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে তুলনা। হ্যাঁ, এমনই রূপ এই পাকিস্তানি তরুণীর, যে, অনেকেই তাঁকে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ভেবে ভুল করে বসেন। তা কোনও নায়িকার সঙ্গে তুলনা হচ্ছে, তাও আবার প্রথম সারির এক বলি নায়িকার সঙ্গে, এমন কথাকে হয়তো প্রশংসা হিসেবেই নেবেন আর পাঁচজন। তবে এই তরুণী কিন্তু সে পথে হাঁটেননি মোটেই। উলটে এ জাতীয় তুলনায় আদৌ খুশি নন তিনি। বরং বেশ খানিক বিরক্তই। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় খোলাখুলি পোস্ট দিয়েই সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’ খেতাব জিতে বিপাকে, পাক নেতা-ধর্মগুরুদের রোষের মুখে মডেল
পাকিস্তানের ওই তরুণীর নাম কানওয়াল চিমা। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আর নিজের কাজের জগৎ নিয়েই তিনি দিব্যি আছেন। সেখানে এই ধার করা গ্ল্যামারের কোনও দরকার যে তাঁর নেই, সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছেন তরুণী। আসলে তাঁর চেহারার আদল অনেকখানিই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মতোই। একনজরে দেখলে ভুল করবেন অনেকেই। কিন্তু সেই ভুলের জল গড়িয়েছে সোশাল মিডিয়া পর্যন্ত। অনেক নেটিজেন দুজনের ছবি দিয়ে তুলনা করে প্রশ্ন করছেন, কাকে দেখতে বেশি সুন্দর। আর এহেন তুলনা দেখেই বেজায় চটেছেন পাক তরুণী। তাঁর সাফ কথা, আমি ঐশ্বর্য নই, হতেও চাই না। হ্যাঁ, তা বলে বলি নায়িকাকে যে তিনি অপছন্দ করেন, তা কিন্তু নয়। তবে এই অহেতুক তুলনা টানাতেই তাঁর আপত্তি রয়েছে। পাকিস্তানের এই তরুণী নিজে আত্মনির্ভর, এবং তিনি মনে করেন, কোনও মহিলা কেমন দেখতে কেবল সেইটুকুই তাঁর বিচারের মাপকাঠি হতে পারে না। পাশাপাশি সেই মহিলা কী কাজ করছেন, কর্মক্ষেত্রে তিনি কতটা সফল, সেই দিকগুলির প্রতিই লোকের আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাই, কাজের সূত্রে তিনি নিজের যে পরিচিতি গড়ে তুলেছেন, কারও ছায়ায় সেই পরিচয়কে হারাতে চান না। চিমার মতে, অভিনয়ের দুনিয়ায় ঐশ্বর্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সেইরকম তিনিও নিজের জগতে কাজ করেই খ্যাতি কুড়োতে চান, অন্য কারও মতো দেখতে বলে নয়। তাই এই তুলনা টানার বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের রীতিমতো একহাত নিয়েছেন ওই পাক তরুণী।