প্রেমের আবার বয়স হয় নাকি! যদি ৮২ বছর বয়সেও কোনও মহিলার প্রেমে পড়েন, তাহলে তাকে বিয়ে করতেই পারেন। প্রায় ‘লাভগুরু’র মতোই পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
প্রেমিকা থেকে শাশুড়ি, কাকে কীভাবে সামলাবেন বুঝতে পারছেন না? টিপস নিয়ে হাজির খোদ প্রধানমন্ত্রী। হ্যাঁ, নতুন বছরে নয়া ভূমিকায় দেখা গেল পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীকে। যা দেখে তাঁকে রাজনৈতিক নেতা নয়, ‘লাভগুরু’-র তকমা দিচ্ছেন নেটিজেনরা।
আরও শুনুন: রামলালার প্রতিষ্ঠার সময় মসজিদ-দরগাতেও উঠুক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, আহ্বান সংঘ নেতার
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর, পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসকের মসনদে বসেছেন আনোয়ার উল হক ককর। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দেশ সামলানোর ভার তাঁরই। কিন্তু রাজনৈতিক প্রশাসকের ভূমিকা সামলানোর পাশাপাশি এবার অন্যরকম ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হলেন ককর। ইংরেজি নতুন বছর পড়তেই দেশের মানুষের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাংসারিক অশান্তি থেকে শুরু করে প্রেমিকার মন পাওয়ার উপায়, কিংবা বিয়ের ‘উপযুক্ত’ বয়স, সবকিছু নিয়েই টিপস দিয়েছেন তিনি।
ককরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৫২ বছরের একজন পুরুষ নিজের পছন্দের মহিলাকে বিয়ে করতে পারবেন কি না। এই প্রশ্নের জবাবে সোচ্চারে সম্মতি জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ৫২ বছর কেন, কারও যদি ৮২ বছর বয়সও হয়ে থাকে, তাহলেও কোনও মহিলার প্রেমে পড়তেই পারেন তিনি। আর প্রেমে পড়লে সেই মহিলাকে বিয়ে করার কথা ভাবতেও তো বাধা নেই।
আবার প্রেমে পড়লেও, প্রেমিকাকে কীভাবে মোহিত করা যাবে, সে প্রশ্নও করেছিলেন কেউ। তার জবাবে তামাশার ছলেই ককর বলেছেন, তিনি নাকি কোনও দিনই প্রেমিকার মন পাওয়ার চেষ্টা করেননি। উলটে তিনি নিজেই মন দিয়ে বসেছেন আগে। প্রেমের ক্ষেত্রে যে তিনি যত্নে বিশ্বাস করেন, তা অবশ্য বোঝাই গিয়েছে। তাই প্রেমিকা আর চাকরির মধ্যে দড়ি টানাটানি দেখা দিলে কী করা উচিত, সেখানেও খানিক প্রেমিকার পক্ষ টেনেই কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ভালোবাসার মানুষ সহজে মেলে না। আর একবার তার হাত ছাড়লে আর ধরার মতো হাত নাও মিলতে পারে, এমনটাই সংশয় পাক প্রধানমন্ত্রীর।
আরও শুনুন: রামের মঙ্গলকামনায় পুজো দেবেন মদ ও মাংস দিয়ে, গঙ্গার কাছে মানত সীতার
ভারতে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই ‘মন কি বাত’ নামে একটি রেডিও অনুষ্ঠান চালিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে দেশবাসীর উদ্দেশে নানারকমের বার্তা দিয়ে থাকেন তিনি। পড়শি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঠিক সে পথে না হাঁটলেও, মনের কথা নিয়েই নতুন বছরে খোলামেলা কথা বললেন তিনি। আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এহেন ঘরোয়া কথাবার্তায় খুশি সে দেশের নাগরিকরাও।