রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। উলুখাগড়ার মতোই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এক ভয়াবহ বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এর মতো ভয়ংকর বিমান আক্রমণ আর ঘটেনি। শুনে নিন সেই ঘটনা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমারু বিমানের হামলা জাপান দেশটিকে কীভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল, সে কথা আজ সবারই জানা। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে সেই ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। পরবর্তী কয়েক মাসে তেজস্ক্রিয়তা ও জখম নিয়ে হতাহতের মোট সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে অনুমান করা যায়। কিন্তু এ কথা অনেকেরই জানা নেই, হিরোশিমা ও নাগাসাকির বিস্ফোরণ ছিল আসলে নাটকের ক্লাইম্যাক্স। তার কয়েক মাস আগে থেকেই একের পর এক মার্কিন বোমারু বিমানের হামলায় কেঁপে উঠেছিল জাপান। আর তার মধ্যেই ঘটেছিল অপারেশন মিটিংহাউজ, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর বিমান হামলার খেতাব পেয়েছে যে আক্রমণ।
আরও শুনুন: রোগ হবার আগেই সারাও… মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসেছিল কোন ভ্যাকসিন?
অ্যাটম বোমা নয়, সাধারণ বোমাই ব্যবহার করা হয়েছিল এই হামলায়। কিন্তু আক্রমণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে এক রাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত এক লাখ মানুষ। পুড়ে ছারখার হয়ে যায় রাজধানী টোকিওর ৪১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। কীভাবে সেদিন আক্রমণ শানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?
আরও শুনুন: ধন্য মানুষের লোভ! মুক্তিপণের আশায় কবর খুঁড়ে চুরি চার্লি চ্যাপলিনের কফিন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ততদিনে শেষের পথে। মিত্রপক্ষের সাঁড়াশি আক্রমণে ক্রমশ জমি হারাচ্ছে জাপান। এই পরিস্থিতিতে জাপানকে মাটি ধরানোর জন্য প্রিসিশন বোম্বিং পদ্ধতির বদলে কার্পেট বোম্বিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। অর্থাৎ কেবল সামরিক ঘাঁটি নয়, জনপদের উপরেও হামলা চলবে বলে ঠিক হয়। অপারেশন মিটিংহাউজের জন্য মোট ৩২৫টি বোমারু বিমান প্রস্তুত করা হয়। ঠিক হয়, দিনের বেলা নয়, হামলা করা হবে রাতে, যাতে বিমানগুলি কম উচ্চতা থেকে বোমা ফেলতে পারে। কম উচ্চতায় উড়লে বিমানগুলি বেশি সংখ্যক বোমাও বইতে পারত। ১৯৪৫ সালের ৯ মার্চ, ৩৬ ঘণ্টার প্রস্তুতির শেষে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু পরোয়ানা বয়ে নিয়ে উড়ে যায় আমেরিকার ৩২৫টি বি-২৯ বিমান।
শুনে নিন বাকি অংশ।