প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন। ঘটা করে তা পালন হবে আজমির শরিফ দরগায়। বিজেপি সংগঠন নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দরগা কর্তৃপক্ষই। মোদির জন্মদিনে ৪০০০ কেজি নিরামিষ খাবার বিলি করবে আজমির শরিফ। আর কী হবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। এই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবের আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। মোদি সমর্থকরা ঘটা করে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করেন। এবার সেই উৎসবে শামিল হতে চলেছে আজমির শরিফ দরগা। জানা গিয়েছে, মোদির জন্মদিন উপলক্ষে ৪০০০ কেজি নিরামিষ খাবার বিলি করবে এই দরগা।
শুধু ভারত নয়, মোদির জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বেই। বিভিন্ন সমীক্ষায় সেই হিসাব ধরা পড়ে। নেতা হিসেবে তাঁকেই সেরার সেরা তকমা দিয়েছেন অনেকে। তাই মোদির জন্মদিনে জাঁকজমক হওয়াটাই স্বাভাবিক। ব্যক্তি মোদি অবশ্য জন্মদিনে তেমন উৎসবে অংশ নেন না। মা হীরাবেন জীবিত থাকাকালীন জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতেন। ব্যাস এতটুকুই। ভক্তদের ভিড়ের মাঝে জন্মদিন উদযাপন করতে মোদিকে দেখা যায়নি কখনই। তবে এবারের জন্মদিনটা খানিক আলাদা। প্রধানমন্ত্রীর মা গত হয়েছেন। বিভিন্ন সভায় এ প্রসঙ্গ মনে করে আবেগে ভেসেছেন মোদি। এবারের জন্মদিন তিনি ঠিক কীভাবে কাটাবেন তা জানা যায়নি। তবে মোদির জন্মদিনে বিশেষ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছে আজমির শরিফ। এদিন সকলের জন্য লঙ্গরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে খাবার সম্পূর্ণ নিরামিষ। এমনিতে এই দরগায় লঙ্গরে বিশেষ পোলাও বিলি করা হয়। চাল, গাওয়া ঘি সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ড্রাই ফ্রুট মিশিয়ে সেই খাবার তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, মোদির জন্মদিনেও ওই পোলাও-ই বিলি করা হবে। যে কেউ চাইলে সেই খাবার পেতে পারেন। সকাল থেকেই শুরু হবে বিতরণ অনুষ্ঠান। দরগার তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ প্রার্থনাও হবে। মোদির সুস্থতা কামনায় দরগার সকলেই অংশ নেবেন সেই প্রার্থনায়। কোরানের অংশ পাঠ, কাওয়ালি গান সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হবে বলেই জানা গিয়েছে।
আসলে, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানেই বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়। সেই হিসাবেই দরগায় প্রার্থনার আয়োজন হয়েছে। তার সঙ্গে জুড়েছে লঙ্গর। এমনিতে, এই ধরনের অনুষ্ঠানে স্থানীয়রা অংশ নেন। তবে মোদির জন্মদিনে বাইরে থেকেও অনেকে এসে ভিড় জমাবেন আজমির শরিফে। এমনটাই মনে করছে দরগা কর্তৃপক্ষ। সকলেই যেন খাবার পান, তার জন্য এই রাজকীয় আয়োজন। দরগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি ফাউন্ডেশন এবং চিস্তি ফাউন্ডেশন। সকলেই চাইছেন সুষ্ঠভাবে এদিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হোক।