রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে এক প্রৌঢ়াকে হাতকড়া পরাচ্ছেন জনাকয় পুলিশকর্মী। যাঁর বয়স নাকি ১০০ পেরিয়েছে। তারপর পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে সেই মহিলাকে নিয়ে থানার দিকে রওনা দিলেন তাঁরা। অথচ কোনও অপরাধই নাকি করেননি ওই বৃদ্ধা। শুধু শখ মেটাতেই ওইভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। এমনটাও কি সম্ভব? আসুন শুনে নিই।
শখ বড় আজব বালাই। শখ মেটাতে মানুষ কত কিছুই না করে। কিন্তু হাজতবাস করা কারও শখ হতে পারে! শুনতে অবাক লাগলেও জনৈক মহিলার নাকি শখ ছিল জীবনে একবারের জন্য হলেও হাতে হাতকড়া পরবেন। অবশেষে জীবনের একেবারে সায়াহ্নে পৌঁছে সেই শখ পূরণ করলেন তিনি।
আরও শুনুন: ঠান্ডায় পুণ্যস্নানে ভয়! ভক্তের হয়ে ডুব দেবেন পেশাদার ব্যক্তি, দক্ষিণা মাত্র ১০ টাকা
‘বাকেট লিস্টেড ড্রিমস’- বর্তমান যুগের খুবই চলতি এক ট্রেন্ড। যদিও পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে এমন ধারার প্রচলন বহুকাল ধরেই রয়েছে। আসলে এখানে এমন কিছু শখ বা ইচ্ছার কথা লিখতে হয়, যা সারাজীবনে একবার হলেও পূরণ করতেই হবে। কারও কাছে বাকেট লিস্টেড ড্রিম হিসেবে থাকে বিদেশ ভ্রমণ, তো কারও কাছে দুর্গম পাহাড়ে ট্রেক করা। কিছু ক্ষেত্রে আবার ভীষণ অদ্ভুত ইচ্ছাও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে ব্রিটেনের ইডি সিমস তাঁর স্বপ্নের তালিকায় খুবই অদ্ভুত এক শখের কথা লিখেছিলেন। তাঁর নাকি প্রবল ইচ্ছা ছিল একবারের জন্য হলেও হাজতবাস করা। কিন্তু সামাজিক পরিচয়ের দরুন কোনওদিনই সেই ‘সৌভাগ্য’ হয়নি তাঁর। এদিকে বয়সের পেরিয়েছে ১০০-র গন্ডি। এই বয়সে এসেও দিব্য সুস্থ হয়ে হেঁটেচলে বেড়ান ইডি। এমনকি বেশ কিছু সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত রেখেছেন নিজেকে। তবু তাঁর মনে ভারী দুঃখ ছিল সেই হাজতবাসের শখ পূরণ না হওয়ার জন্য।
আরও শুনুন: মাস্ক পরে খেতে অসুবিধা! পাখির ঠোঁটের মতো মাস্ক বানিয়ে নজর কাড়লেন ব্যক্তি
অবশেষে তাঁর সেই অদ্ভুত শখের কথা জানতে পেরে উদ্যোগ নেন তাঁর এলাকার পুলিশকর্মীরা। একেবারে অপরাধীদের মতোই রাস্তা থেকে হাতকড়া পরিয়ে ইডিকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তারপর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে আবার নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁকে। আর এই যাত্রায় বৃদ্ধার খুশি দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। প্রথমে তাঁরা সকলেই এমন অদ্ভুত শখের কারণ শুনে অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তারির পর ইডির আনন্দ দেখে তাঁরাও বেজায় খুশিই হয়েছেন।