ভারত মন্দিরময় দেশ। এখানে হরেক কিসিমের মন্দির। সেসবের সঙ্গে জুড়ে আছে অজস্র ইতিহাস এবং কিংবদন্তি। নানা মন্দিরে লেগে থাকে ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভিড়। তবে ভারতবর্ষে এমন এক মন্দির আছে, যেখানে কেউই প্রায় প্রবেশ করতে চান না। কী সেই মন্দিরের রহস্য!
হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলার পাহাড়ের কোলে আছে এক মন্দির। কিন্তু সেখানে কতিপয় মানুষ ছাড়া কেউই পা বাড়াতে সাহস করেন না। কেন এমন ভয়? কী রয়েছে এই মন্দিরে? ভারতবর্ষের মৃত্যু দেবতার অর্থাৎ যমরাজের একমাত্র মন্দির এটি। মন্দিরটি কবে তৈরি হয়েছিল সে বিষয়ে বিশেষ কোনও তথ্য মেলে না। তবে কাহিনি বলে, চাম্বা প্রদেশের রাজাদের দৌলতে, তাঁর প্রজাদের দুর্বিপাক থেকে রক্ষার কারণেই, ষষ্ঠ শতাব্দী নাগাদ হয়েছিল এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা।
আরও শুনুন: দেশের এইসব মন্দিরে পুরুষের No Entry! কেন জানেন?
হিন্দুধর্মের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে যমের। ঋগ্বেদের প্রায় পঞ্চাশের বেশিবার উল্লিখিত রয়েছে তাঁর নাম। বৈদিক মত অনুসারে, তিনিই প্রথম নশ্বর ব্যক্তি যিনি মৃত্যুবরণ করে স্বর্গীয় আবাসে গমন করেন। সেই থেকেই তিনি রূপান্তরিত হন মৃত্যুর দেবতারূপে। তাঁর সঙ্গে অগ্নিদেবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ঋগ্বেদে অগ্নিকে যমরাজের পুরোহিতরূপে বর্ণনা করা হয়। অগ্নিই মৃতদেহ ধ্বংস করেন।
আরও শুনুন: ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্রের অতলে ঘুমিয়ে হিন্দু দেবদেবীর প্রাচীন মূর্তি! ব্যাপারটা কী?
তাঁর অন্য নামের মধ্যে রয়েছে ধর্মরাজ এবং কালদেব। মহাভারত অনুসারে তিনি যুধিষ্ঠিরের পিতা।
মূর্তিকল্পনায় যমরাজের গায়ের রং গাঢ় মেঘের ন্যায়। চার হাত বিশিষ্ট। বাহন মহিষ। তাঁর হাতে থাকে গদা বা মুদগর। যমদণ্ড। দড়ি দিয়ে তৈরি একটি মৃত্যুপাশ।
এইরকম মূর্তিই রয়েছে এই মন্দিরে। অনেকেই মনে করেন, এই মন্দিরের চৌকাঠ পেরোলে মুখোমুখি হতে হবে কালদেবের। খামোখা কে আর সাধ করে জীবনে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে চায়! অনেকেরই ধারণা এই মূর্তি দর্শন করা মানেই নিজের জীবনে ডেকে আনা হাজারো বিপদ। মন্দিরের চৌকাঠ পেরনো তো দূরের কথা, অনেকেই চৌহদ্দির কাছে ঘেঁষেন না। বেশ দূর থেকে ধর্মপ্রাণ জনগণ প্রণাম জানান ধর্মরাজকে।
স্থানীয়দের মতে, মন্দিরে শুধু যমরাজ একাই নেই। সেই সঙ্গে রয়েছেন চিত্রগুপ্ত। তিনি ধর্মরাজের সর্বক্ষণের সহায়ক। তবে তিনি নাকি মন্দিরের মধ্যেই কোনও এক গোপন ঘরে থাকেন। সেই ঘর কোথায় কেউই জানেন না। তবে তিনি এখানেই বসেই মানুষের পাপ পুণ্যের হিসেব করেন। সেই হিসেব পৌঁছে দেন, তাঁর অধিকর্তা ধর্মরাজের দপ্তরে।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।