দেশের প্রথম উড়ান সংস্থা, কিন্তু সেখানেই এবার বাতিল করা হচ্ছে কর্মীদের দেশীয় পোশাক। অর্থাৎ যে একটিমাত্র এয়ারলাইন্সে এয়ারহোস্টেসদের শাড়ি পরে দেখা যেত এতদিন, এবার আর দেখা যাবে না তেমনটা। কেন এহেন সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া? শুনে নিন।
যে দেশ থেকে উড়ে যাচ্ছে বিমান, অনেকসময় সেই দেশের সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়েই এয়ারহোস্টেসদের পোশাক নির্বাচন করা হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই এয়ারহোস্টেসদের ইউনিফর্ম হিসেবে শাড়িকেই বেছে নিয়েছিল দেশের প্রথম বাণিজ্যিক উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। একমাত্র এই এয়ারলাইন্সেই এখনও এয়ারহোস্টেসদের পরনে শাড়ি দেখা যেত। কিন্তু ছয় দশক পরে বদলে যাচ্ছে সেই ছবি। ইউনিফর্ম বদলানোর পথেই হাঁটছে এয়ার ইন্ডিয়া।
আরও শুনুন: বিয়ে ভাঙলেও নেই রেহাই! অন্য পুরুষের কাছে চড়া দামে বিক্রি স্ত্রী, অদ্ভুত প্রথা রাজস্থানে
১৯৬২ সালের শুরুর দিকে, জেআরডি টাটার সময়, বিমান সংস্থার ক্রু-রা পশ্চিমা পোশাক পরতেন। মহিলাদের ইউনিফর্ম বলতে ছিল স্কার্ট, জ্যাকেট এবং ক্যাপ। সেই সময়ে, টাটা এয়ারলাইন্সের বেশিরভাগ এয়ার হোস্টেস ছিলেন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বা ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত, তাই শাড়িকে ইউনিফর্ম হিসেবে রাখা হয়নি। তবে পরবর্তী কালে শাড়িই হয়ে ওঠে এই সংস্থার এয়ারহোস্টেসদের পোশাক। শাড়ি পরেই লম্বা সফর সামলাতেন এই কর্মীরা, একইসঙ্গে সামলাতেন যাত্রীদের যাবতীয় দাবিদাওয়া। কিন্তু এবার শাড়িকে বাতিল করে আরও আধুনিক পোশাক বেছে নিতে চাইছে উড়ান সংস্থাটি, এমনটাই শোনা গিয়েছে। এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ৬ দশক পর ইউনিফর্ম বদলাতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
আরও শুনুন: চাকরি নয়, স্বনির্ভর ব্যবসার পথেই নারীর যোগদান বাড়ছে দেশের শ্রমশক্তিতে, জানাল সমীক্ষা
আসলে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারা যুক্ত হওয়ার পর দুই সংস্থার ইউনিফর্মও একই হবে। চলতি বছরের আগস্ট মাসেই এই ঘোষণা করা হয়েছিল সংস্থার তরফে, আর এবার সেই ঘোষণাই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এখন এয়ার ইন্ডিয়ার মহিলা ক্রু-মেম্বার এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের শাড়ি পরতেই দেখা যায়। তবে নভেম্বর থেকে সেই নিয়মে বদল আসতে চলেছে। কলাকুশলীদের নতুন ইউনিফর্ম ডিজাইন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত ডিজাইনার মনীশ মলহোত্রকে। জানা গিয়েছে, এরপর থেকে হয়তো চুড়িদার কিংবা স্যুট পরেই দেখা যেতে পারে এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারহোস্টেসদের।