টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় দিয়ে শুরু করেছে ভারত। টানা দুই ম্যাচে জয় সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তবে খেলার ফল যাই হোক, পরিবেশ রক্ষায় সকলের থেকে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। ঠিক কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
আইপিএল শেষ হতে না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মজেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইতিমধ্যেই দুই ম্যাচ জিতেছে ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন রোহিতরা। এই আবহে সামনে এল পরিবেশ রক্ষায় ভারতের বিশেষ অবদানের কথা। সেই অবশ্য বিশ্বকাপের সঙ্গেই জড়িয়ে।
আরও শুনুন: ডিউটিতে চড় মেরে বিতর্কে! নিজের পেশা আর উর্দির জন্য তবু গর্বিত কুলবিন্দর
ক্রিকেট নিয়ে এ দেশে রীতিমতো উন্মাদনা চোখে পড়ে। যে কোনও ফরম্যাটেই খেলা হোক, সমর্থকরা গ্যালারি ভরাতে সর্বদা প্রস্তুত। চলতি বিশ্বকাপেও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। খেলা দেখতে সুদূর নিউ ইয়র্ক পাড়ি দিচ্ছেন বহু ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী। খেলায় হার-জিত থাকবেই। সেক্ষেত্রে শেষমেশ কার হাতে ট্রফি উঠবে তা বলা কঠিন। তবে ফলাফল যাই হোক, অন্য এক কারণে বিশ্বকাপের বাকি দেশগুলোকে ইতিমধ্যেই পিছনে ফেলেছে ভারত। অন্য কিছু নয় পরিবেশ রক্ষায়। আসলে, যে কোনও আন্তর্জাতিক খেলাতেই অংশগ্রহণকারী দেশের বিশাল মাপের পতাকা তৈরি করা হয়। ম্যাচ শুরুর আগে, সেই পতাকা প্রদর্শন করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। চলতি বিশ্বকাপেও তেমনটা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের যে পতাকা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ভারতে তৈরি। শুধু সেই কারণে ভারত এগিয়ে, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ ওই পতাকা সাধারণ কাপড় বা সেই ধরনের কোনও কিছু দিয়ে তৈরি করা হয়নি। তা তৈরি হয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে। অর্থাৎ পরিবেশ রক্ষায় যে প্লাস্টিক বর্জ্যের কথা বারবার উঠে আসে, তা দিয়েই এই পতাকা গড়েছে এক ভারতীয় সংস্থা।
আরও শুনুন: মোদির মন্ত্রিসভায় তিন-এ তিন নির্মলার, মহিলা মন্ত্রী হিসাবে গড়লেন নতুন রেকর্ড
মোট ২০ দেশ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। সবকটি দেশের বিরাট মাপের পতাকা তৈরি করেছে সুরাটের ওই সংস্থা। প্রতিটির আকার ৩৫/২০ মিটার। অর্থাৎ সাধারণ পতাকার থেকে এগুলি যে বেশ বড়, তা সহজেই অনুমেয়। জানা গিয়েছে, প্লাস্টিক বর্জ্য নতুন করে কাজে লাগিয়ে একটি পতাকা তৈরি করতে প্রায় ২৪ ঘন্টা সময় লেগেছে। অর্থাৎ মোট ২০ টি পতাকা তৈরি হয়েছে ২০ দিন ধরে। এর জন্য দিনরাত এক করে কাজ করেছেন ৬০০ শ্রমিক। এতবড় পতাকার ওজনও নেহাতই কম নয়। প্রতিটির ওজন প্রায় ১৫০ কেজি, যা তোলার জন্য অন্তত জনা পঞ্চাশ লোক দরকার। বলাই বাহুল্য, এই পতাকা তৈরিতে যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার হয়েছে, তা আদপে পরিবেশের বিরাট উপকার করেছে। আগামীদিনেও এইভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য কমাতে পারলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।