পাহাড় নাকি ডিম পাড়ে! এমনটা আবার হয় নাকি! শুনে যতই হাস্যকর মনে হোক না কেন, চীনের এক পাহাড়ের পাদদেশে পাওয়া যায় হাজার হাজার ডিম। কীভাবে ডিম পাড়ে পাহাড়?
পাহাড় নাকি ডিম পাড়ে! এমনটা আবার হয় নাকি! শুনে যতই হাস্যকর মনে হোক না কেন, চীনের এক পাহাড়ের পাদদেশে পাওয়া যায় হাজার হাজার ডিম। কীভাবে ডিম পাড়ে পাহাড়?
ঘোড়ার ডিম, যার আর একটা নাম অশ্বডিম্ব। অলীক কোনও বস্তুর বর্ণনা করতে গিয়ে আমরা এই কথাটা হামেশাই ব্যবহার করে থাকি। কথাটা প্রচলিত। আর আমরা সবাই জানি ঘোড়ার ডিম বলে কিছু হয় না। কিন্তু যদি বলি পাহাড়ের ডিম, না না, এত অবাক হবেন না। জানি, আপনি নিশ্চয়ই বলছেন, পাহাড় ডিম পাড়ে তা আবার হয় নাকি। এই অত্যাশ্চর্য বস্তুটি রয়েছে চীনে। গুইঝু প্রদেশের কিয়ানান বুয়ি ও মিয়াও অঞ্চল জুড়ে এর অবস্থান ৷ যার আঞ্চলিক নামও আছে, চান দান ইয়া। যার অর্থ ডিম পাড়া পাহাড়। বছরে নয়, এক- একটা ডিম পাড়তে পাহাড়ের সময় লাগে প্রায় তিরিশ বছর। খুব ভাল করে দেখলে আসল ডিমের সঙ্গে বেশ মিল চোখে পড়ে। চকচকে, গোল ও মসৃণ। পুরো পাহাড় জুড়ে নয়, একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা যায় এই ডিমগুলো। সেই অংশটি লম্বায় ৯ ফুট চওড়ায় ৬৫ ফুট। এই অংশ জুড়ে থাকে গাদা গাদা ডিম। তবে সব ডিমই পাথরের। ডিমগুলো পাহাড়ের গা ফেটে বেরিয়ে আসে আর পরিপূর্ণ হওয়ার পর টুক করে খসে পড়ে পাহাড়ের পাদদেশে। র হাজার ডিম। কীভাবে ডিম পাড়ে পাহাড়?
আরও শুনুন: Silent Village: বছরে ৪২ দিন মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের, কোথায় রয়েছে এমন অদ্ভুত প্রথা?
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে তৈরি হয় এই ডিম?
সঠিক উত্তর এখনও অজানা। ভূত্ত্ববিদরাও উত্তর খুঁজে পেতে হিমশিম হয়েছেন। ব্যাখ্যা অবশ্য একটা পাওয়া গিয়েছে, পাহাড় মূলত পাললিক শিলায় গঠিত হয়। পাললিক শিলা অন্য শিলা থেকে কঠিন। কিন্তু এই ডিমপাড়া পাহাড় চুনাপাথরে তৈরি। চুনাপাথর অন্য পাথরের থেকে নরম। সহজেই ক্ষয়ে যায়। কিন্তু পাললিক শিলা শক্ত হওয়ায় সহজে ক্ষয় হয় না। এর ফলে পাহাড়ের শক্ত অংশ ডিমে পরিণত হয়। ক্ষয় যত বাড়ে এই ডিম আরও বড় হয়। এরপর এক সময় এই ডিম পাহাড়ের গা থেকে খসে পড়ে। ডিমগুলো কী করে গোল হয় তার ব্যাখ্যা জানা যায় নি।
আরও শুনুন: Jeans কেন হয় নীল রঙের? কেনই বা থাকে ছোট্ট পকেট?
বাকিটা শুনুন প্লে বাটন ক্লিক করে