বছরে ৪২ লক্ষ টাকা আয়। অনেকের কাছেই এমনটা স্বপ্নের মতো। অথচ এক ব্যক্তি এতগুলো টাকা খরচ করেছেন স্রেফ খাবার অর্ডার করে। তাও আবার এক বছরে। সম্প্রতি ঠিক এমনই তথ্য সামনে এনেছে জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা। কোন খাবারে অর্ডার করে এত টাকা খরচ করলেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
খাদ্যরসিক অনেকেই হন। কিন্তু খাওয়ার জন্য বছরে ৪২ লক্ষ টাকা খরচ করতে শুনেছেন কাউকে? তাও আবার ভিনদেশের দামি রেস্তোরাঁয় গিয়ে নয়, ঘরে বসে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেই এত টাকা খরচ করেছেন এক যুবক। সম্প্রতি অনলাইন ফুড সংস্থার বার্ষিক স্ট্যাটিস্টিক্স রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের।
আরও শুনুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় AI ব্যবহার করে ছবি! ডিপ-ফেকের কবলে পড়বেন না তো?
বিগত কয়েক বছরে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার চাহিদা রীতিমতো বেড়েছে সর্বত্রই। মাত্র একটা ক্লিকেই কাজ শেষ। দরজায় হাজির হবে পছন্দের রেস্তোরাঁর খাবার। কখনও সামান্য ডেলিভারি চার্জ, কখনও আবার তাও মুকুব। তাই বাড়িতে বসেই যে কোনও সময় পেটপুজোর ব্যবস্থা করতে পারেন যে কেউ। তাই বলে প্রতিদিন রেস্তোরাঁর খাবার! জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার রিপোর্ট বলছে একদম তাই। প্রতিদিন রেস্তোরাঁর খাবার অর্ডার করে খান এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। তবে বিশেষভাবে তাঁরা উল্লেখ করেছে মুম্বইয়ের এক বাসিন্দার নাম। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ২০২৩ সালে মোট ৪২.৩ লক্ষ টাকার খাবার অর্ডার করেছেন। কখনও পিজ্জা, কখনও কেক আবার কখনও মিষ্টি বছরভর বিভিন্ন রেস্তোরাঁর খাবার তাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছে ডেলিভারি সংস্থার কর্মীরা। শুধু তাই নয়, সামগ্রিক ভাবে কোন খাবারের চাহিদা সবথেকে বেশি সেই তথ্যও সামনে এনেছে ডেলিভারি সংস্থা।
আরও শুনুন: রক্তমাংসের নারীই নয়, পুতুল হয়েও ফোর্বসের প্রভাবশালী মহিলার তালিকায় ‘বার্বি’
তালিকায় কোন খাবার সবার উপরে রয়েছে জানেন?
বিরিয়ানি! ঝরঝরে সোনালি ভাত। তার মধ্যে থেকে উঁকি দিচ্ছে মাংসের টুকরো। ঢাকনা সরাতেই ভুরভুরে খুশবুতে আমোদিত হয়ে উঠবে চারপাশ। ছুটির দিনের খানাপিনা হোক কিংবা গেট টুগেদার, এক প্লেট বিরিয়ানি হলে আর কোনও কথাই থাকে না। আর রেস্তরাঁ থেকে অনলাইন ডেলিভারি চালু হওয়ার পর তো আরও সুবিধা বেড়েছে। কষ্ট করে বেরোনোরও দরকার পড়ে না। রেস্তরাঁ যতই দূরে থাক, ঘড়ির কাঁটা যতই রাতের দিকে গড়াক, আপনার অর্ডার দেওয়ার অপেক্ষা কেবল। ভূতের রাজার বরের মতোই, বিরিয়ানির হাঁড়ি এসে হাজির হবে আপনার দোরগোড়ায়। সংস্থার দাবি, বিগত ৮ বছর ধরে খাদ্যতালিকায় সেরার সেরা শিরোপা পেয়ে আসছে বিরিয়ানি। চলতি বছরে হায়দ্রাবাদের এক ব্যক্তি মোট ১৬৩৩ প্লেট বিরিয়ানি অর্ডার করেছেন। যা গড় হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রতিদিন ৪ প্লেট করে বিরিয়ানি। বিশ্বকাপ চলাকালীন একদিনে ৭০ প্লেট বিরিয়ানি অর্ডার করেছিল এক পরিবার। এখানেই শেষ নয়। সংস্থার দাবি সেকেন্ডে ২.৫ প্লেট বিরিয়ানি, এই হিসাবে গোটা বছর বিরিয়ানির অর্ডার এসেছে গোটা দেশ থেকে। প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়তে থাকে, এমনটা নিজেদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে ওই সংস্থা। সুতরাং একথা বলাই বাহুল্য, এককালে বিরিয়ানি যতই অভিজাত খাবার হোক না কেন, আজ রাজা-মহারাজা থেকে আমজনতার প্লেটেও দিব্যি সহাবস্থান করছে। জিএসটি বসুক, লক ডাউন চলুক, দাম বাড়ুক, বিরিয়ানির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। অন্তত ডেলিভারি সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্টও সে কথাই ফের প্রমাণ করে দিল।