বিয়ের জন্য পাত্রী চাই। আর সেই পাত্রী খুঁজতেই অভিনব উপায় অবলম্বন করলেন মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। কোনও ঘটক কিংবা প্রজাপতি অফিসের পরোয়া না করে, ‘পাত্রী চাই’ লেখা পোস্টার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ের বাজারে সরকারি চাকুরে পাত্রের কদর যে আকাশছোঁয়া, পাত্র চাই-এর বিজ্ঞাপনগুলি দেখলেই তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু এ যেন উলটপুরাণ। পাত্র নয়, পাত্রীর খোঁজ করছেন এক ব্যক্তি। আর সেই পাত্রীটির সরকারি চাকুরে হওয়া বাধ্যতামূলক। এমন পাত্রী পাওয়ার জন্য তিনি পণ দিতেও রাজি বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁর সেই কাণ্ডের ভিডিও-ই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ৫৭ সন্তানের ‘জনক’, তবু বিয়ের পাত্রী পেতে নাজেহাল বাস্তবের ‘ভিকি ডোনার’
বিয়ের জন্য পাত্র কিংবা পাত্রী খুঁজতে অনেকেই বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের দ্বারস্থ হন। কিন্তু এই ব্যক্তি সেসব উপায়ের ধার ধারেননি। ভারচুয়াল মিডিয়ায় তাঁর পাত্রী সন্ধানের কথা ছড়িয়ে পড়েছে বটে, তবে বিয়ের কনে খোঁজার জন্য কোনও অনলাইন ওয়েবসাইটের বদলে নিজের উপরেই বেশি আস্থা রেখেছিলেন তিনি। আর তাই, পাত্রী খোঁজার জন্য অভিনব উপায় অবলম্বন করেই সকলের নজর কেড়েছেন এই ব্যক্তি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কোনও বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। চারদিকে লোকজনের ভিড়। কিন্তু তার মধ্যেই একটি পোস্টার হাতে ধরে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: বিবাহবিচ্ছেদের ৪ বছর পার, ঘটা করে ‘বিচ্ছেদবার্ষিকী’ উদযাপনে হইচই ফেললেন তরুণী
কী লেখা রয়েছে ওই পোস্টারে? হিন্দিতেই ওই ব্যক্তি পোস্টারে লিখেছেন, “বিয়ের জন্য সরকারি চাকুরে পাত্রী চাই। আমি পণ দেব।” বলার অপেক্ষা রাখে না, এহেন পোস্টার দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে। পণপ্রথা যে আদতে অসম্মানের, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কথা উঠেছে। অনেকেই এই অভ্যাসকে নাকচও করেছেন। সেখানে এই ব্যক্তি প্রকাশ্যেই পণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তা ছাড়া সাধারণভাবে কনেপক্ষর তরফে বরপক্ষকে পণ দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপারটি উলটো। অনেকের মতে, বিয়ের জন্য মরিয়া হয়েই এহেন পদক্ষেপ করেছেন ওই ব্যক্তি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে নিয়ে হাসাহাসিও জুড়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। তবে যতই পণ দেওয়া নিয়ে তর্কবিতর্ক চলুক না কেন, সমাজ থেকে এই অভ্যেস কিন্তু এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি। ভালো চাকরি করা কিংবা প্রতিষ্ঠিত কোনও ব্যক্তিকে পাত্র হিসেবে পাওয়ার জন্য যে কোনও শর্তেই রাজি হয়ে যান অনেক অভিভাবক। সেই অভ্যাসকে বিদ্রুপ করতেই কি এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি? সে কথার অবশ্য উত্তর পাওয়া যায়নি।