এ বোধহয় সেই ভুবনের মাসির কাণ্ড। সেই মহিলা যেমন তাঁর আদরে লালিতপালিত বোনপোকে চুরি করলেও কোনও দিন শাসন করেননি, তেমনই নিজের ছেলেপুলে, এমনকি নাতিকেও চুরি করতে রীতিমতো উৎসাহ দিয়েছেন এই মহিলা। সত্যি বলতে, পরিবার পরিজনদের নিয়েই একটা গোটা চোরের দলই খুলে বসেছিলেন তিনি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এক দুজন নয়, রীতিমতো বড়সড় গ্যাং। চোরদের সেই দলটিকে ধরার পর থেকেই দলের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ করছিলেন পুলিশ গোয়েন্দারা। আর তার খোঁজ মিলতেই চমক। দেখা গেল, দলের সর্দার কোনও পুরুষ নন, বরং একজন মহিলা। তার উপরে তিনি বেশ বয়স্কও। জেরায় জানা গেল, আসলে ধরা পড়া চোরেরা তাঁর নিজের ছেলে। মা যেভাবে তাঁর সন্তানকে গড়ে তোলেন, তাকে আগামীর পথনির্দেশ দেন, আবার বিপদআপদ থেকে আগলেও রাখেন, এই মহিলাও কিন্তু সে কাজই করেছেন। তবে কিনা, তার সবটাই চুরি-কেন্দ্রিক। চুরির প্ল্যান করা থেকে ছেলেদের চুরি করতে উদ্বুদ্ধ করা, আবার বড়সড় চুরির পর তাদের লুকিয়ে রাখা, সবটার পিছনেই ছিলেন তিনি। কোন পদ্ধতিতে চুরি করতে হয় আর কীভাবে ধরা না পড়ে কার্যসিদ্ধি করতে হয়, তার সবটাই মায়ের কাছ থেকেই শেখা বলেই জানিয়েছে তাঁর ছেলেরা। আর কেবল নিজের ছেলেরাই নয়, তাঁর ভাইপো, এমনকি নাতির ছেলে, আর ছেলেদের বন্ধুবান্ধবদের দলে টানতেও চেষ্টার ত্রুটি করেননি তিনি। সব মিলিয়ে পরিবার পরিজনদের নিয়েই চোরের দল খুলেছিলেন ওই মহিলা। আর একের পর এক চুরি করে পুলিশ প্রশাসনকে কার্যত চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ওই চোরের দল।
আরও শুনুন: মেয়ের জন্মদিনে বিলি ১ লক্ষ ফুচকা, ব্যক্তির উদ্যোগকে কুর্নিশ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি শাহিবাবাদ এলাকা থেকে ওই দলেরই চারজন চোরকে পাকড়াও করে পুলিশ। শাহিবাবাদ এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে অসংখ্য চুরি এবং গয়না ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে এদের নামে। জানা গিয়েছে, এই দলে একজন স্যাকরাও ছিল, যে লুটের জিনিসপত্র কিনে নিত। লুঠপাট করে লোনি সীমান্ত দিয়ে পালাত চোরেরা, যেখানে রুকসানা নামে এক মহিলা তাদের আশ্রয় দিত বলে জানতে পারে পুলিশ। তদন্তে শেষমেশ জানা যায়, এই রুকসানা আর কেউ নয়, ধৃত দানিশের মা। নিজের পাঁচ ছেলেকেই এই কাজে নিযুক্ত করেছিলেন ওই মহিলা। চার বছর ধরে ওই এলাকায় নিয়মিত চুরি করেছে এই পারিবারিক চোরের দল। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল তারা। সপরিবারে তাদের কী পরিণতি হবে, সেটাই আপাতত দেখার।