উপবাস করে পুজো দেওয়া। তারপর চরণামৃত খেয়ে উপবাস ভঙ্গ। এই রীতি সকলেরই জানা। মন্দিরে গেলে তা পাওয়াও যায়। কিন্তু বাড়িতে বানানো যায় কীভাবে? বছরভর নেটে তাই-ই খুঁজল দেশবাসী। আর কোন খাবারের খোঁজ পড়ল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পাঁচ উপাদানে তৈরি। তাই কেউ বলেন পঞ্চামৃত। ঈশ্বরের প্রসাদ, তাই কেউ বলেন চরণামৃত। খুবই চেনা জিনিস। কিন্তু তা বানানো কি এতই সহজ? সাম্প্রতিক গুগল সার্চের খতিয়ান বলছে, মোটেও না। কেননা, ২০২৩-এ যে ক-টি খাবারের খোঁজ সবথেকে বেশি বার করা হয়েছে তার মধ্যে তিন নম্বরেই আছে এই চরণামৃত বা পঞ্চামৃত।
আরও শুনুন: সারিয়ে তুলবেন আহত সৈনিকদের, সিয়াচেনের ঠান্ডায় অকুতোভয় ফতিমা ওয়াসিম
দুধ, দই, মধু, তুলসী পাতা এবং গঙ্গাজল- এই পাঁচটি জিনিস দিয়েই তৈরি হয়েই চরণামৃত। উপবাস করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তা পান করাই রীতি। এদিকে যদি বাড়িতে ঘরোয়া ভাবে পুজোআচ্চা হয়, তাহলেও চরণামৃত বানাতে হয়। কিন্তু বানানো হবে কীভাবে! আজকালকার দিনে অনেকেই জানেন না যে, কোন উপাদান দিয়ে তা তৈরি করা হয়। অতএব গুগলই ভরসা। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু আধ্যাত্মিকতার খাতিরেই নয়, স্বাস্থ্যের কারণেও চরণামৃত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই উপবাস ভঙ্গের জন্য চরণামৃত দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাই খোঁজ করা হয়েছে এই খাবারটিরই।
আরও শুনুন: খাবার নয়, মিলবে সুন্দরীর হাতে সপাটে চড়! ‘আদরের মার’ খেতেই ভিড় রেস্তরাঁয়
তবে শুধু চরণামৃতই নয়, দেশ খুঁজল আরও বেশ কয়েকটি খাবার। সম্প্রতি তার তালিকা সামনে এসেছে। যার মধ্যে অবাক হতে হয়, আমের আচারের খোঁজ দেখে। খাবারটি দুর্লভ নয়। এমনিতে অনলাইনেও দিব্যি পাওয়া যায়। তবু দেশের মানুষ কিন্তু নিজেরা আচার বানাবেন বলেই খোঁজ করেছেন। এবং বহু মানুষ আচারের রেসিপি নেটুনিয়ায় প্রকাশও করেছেন। মজার বিষয় হল, আচারের তো কোনও নির্দিষ্ট রেসিপি নেই। ফলে, প্রত্যেকেরই রেসিপিতে কিছু না কিছু পার্থক্য আছে। স্থান বিশেষেও তা আলাদা হয়ে যায়। সে সবই খুঁজে দেখেছেন মানুষ। এ ছাড়া রাভা লাড্ডু থেকে কারাঞ্জি হরেক খাবারের খোঁজ করেছেন মানুষ। সার্চের এই খতিয়ান একটা কথাই শুধু মনে করিয়ে দেয়, যে, ভারতবাসী বরাবরের মতো এখনও খাদ্যরসিক।