দুয়ের বেশি সন্তান থাকলেই হাউজিং কমিটি থেকে বাদ। সিদ্ধান্ত খোদ আদালতের। বিষয়টা ঠিক কী? তাহলে শুনেই নেওয়া যাক।
ছোট পরিবার সুখী পরিবার। পরোক্ষে এ কথাই বলছে আদালতও। সে কথা মাথায় রেখেই আদালতের হুঁশিয়ারি, বেশি সন্তান থাকলে বাতিল হয়ে যাবে হাউজিং সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটিতে থাকার সুযোগ। এই প্রেক্ষিতে বেঁধে সন্তানের সংখ্যাও। দুয়ের বেশি সন্তান থাকলেই ম্যানেজিং কমিটিতে যোগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।
আরও শুনুন:
বিচারপতিকে ‘ভগবান’ মনে করলেই সর্বনাশ! হুঁশিয়ারি খোদ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
আসলে বিষয়টি নতুন নয়, তবে সম্প্রতি এক মামলার সূত্রে এই প্রসঙ্গ নতুন করে সামনে এসেছে। পবনকুমার সিং নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর হাউজিং সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটিতে তাঁকে রাখা হচ্ছে না, কেননা তাঁর সন্তানের সংখ্যা দুয়ের বেশি। কিন্তু কান্দিভলির বাসিন্দার ওই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি। ১৯৬০ সালে মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ সোসাইটিজ অ্যাক্ট, যেখানে ২০১৯-এ নয়া সংশোধন চালু হয়েছিল, সেই আইন মেনেই অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে। সে আইনে স্পষ্টই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দুয়ের বেশি সন্তান থাকলে হাউজিং সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটিতে থাকতে পারবেন না কোনও ব্যক্তি।
এমনিতে ‘বেশি সন্তান’-এর প্রসঙ্গটি ইদানীং কালে বেশ স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক কারণেই। লোকসভা ভোটের আগে প্রচার থেকে খোদ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, যাদের বেশি সন্তান আছে তাদেরকেই হিন্দুদের সব সম্পত্তি বিলিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস। নাম না করেও সে কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি। রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ার সেই মন্তব্য থেকেই মঙ্গলসূত্র বিতর্কের সূত্রপাত। অতএব বেশি সন্তান বললে মুসলিমদের প্রতি পরোক্ষ নিশানা রয়ে যাচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন ওঠেই। এখানে অবশ্য সে কথা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। পুরো বক্তব্যটিতে সন্তানদের যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে, আর সে কারণেই দুয়ের বেশি সন্তান না থাকার পক্ষে সওয়াল আদালতের।