স্ত্রী নন। তবু ঠিক স্ত্রীর ভূমিকাই পালন করবেন তিনি। অথচ কখনও রাগ করবেন না। শপিং-এ নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়নাও করবেন না। যতক্ষণ ইচ্ছা সময় কাটানো যাবে তাঁর সঙ্গে। নিজের সম্পর্কে ঠিক এমনটাই প্রচার করেছেন এই মডেল। একথা শুনেই দল বেধে তাঁর কাছে হাজির হচ্ছেন বিবাহিত পুরুষরা। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
‘বউ হারালে বউ পাওয়া যায়’… বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় এই সংলাপ আক্ষরিক ভাবেও সত্যি। স্ত্রী অবর্তমানে অনেকেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কিন্তু এক্ষেত্রে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য একজন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কী ভাবছেন, পরকীয়ার কথা বলছি? একেবারেই তা নয়। ব্রাজিলের এক তরুণী মডেল বিবাহিত পুরুষদের জন্য নিয়ে এসেছেন এমন সুযোগ।
আরও শুনুন: ঘনিষ্ঠতার সময়েও বাতকর্ম! প্রেমিকার কাণ্ডে বেজায় চটে সম্পর্কে ইতি টানলেন যুবক
বাবি পালোমাস। বছর ২৪-এর এই মডেল বর্তমানে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছেন, স্ত্রী হিসেবে ‘প্রক্সি’ দিয়েই। নিজেকে সারোগেট ওয়াইফ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। সাধারণত এই সারোগেট শব্দটি মাতৃত্বের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। নিজের গর্ভে সন্তান ধারণে অক্ষম কোনও মহিলা যদি অন্য কারও গর্ভে সন্তান ধারণ করেন, তবে সেই মহিলাকে সদ্যোজাতের সারোগেট মাদার বলা হয়। ঠিক সেই হিসাবেই নিজেকে সারোগেট ওয়াইফ বলতে চেয়েছেন বাবি পালোমাস। তাঁর দাবি, অর্থের বিনিময়ে যে কেউ তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। এক্ষেত্রে মূলত বিবাহিত পুরুষরাই তাঁর কাছে ভিড় জমান বলে জানিয়েছেন বাবি। কেউ চান দীর্ঘক্ষণ ফুটবল ম্যাচ দেখতে, আবার কারও আবদার একসঙ্গে ডিনার করা। কেউ কেউ আবার সারারাত একসঙ্গে সিনেমা দেখতে চান। সবার সমস্ত আবদার মেটান বাবি। আর সেইসঙ্গে অনেকেই নিজের মনের কথা তাঁকে বলেন। অনেক সময় গুরুতর বিষয় সম্পর্কেও তাঁর সঙ্গেই আলোচনা করতে চান কেউ কেউ। তবে এর সঙ্গে যৌনতার কোনও যোগ নেই। আসলে তরুণী যা কিছুই করেন সবটা অনলাইনে। সামনাসামনি কারও সঙ্গে দেখা করেন না তিনি। নিজের প্রচারও করেন অনলাইনে। সেখানেই নির্দিষ্ট মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সকলে। তারপর টাকার পরিমাণ মতো সময় দেন বাবি। ১২ ঘণ্টা বা ২৪ ঘণ্টার হিসাবে তাঁকে বুক করা যায়। টাকার অঙ্কও নির্দিষ্ট হয় সেই হিসাবেই। তাই কারও সঙ্গে গোটা দিন আবার কারও সঙ্গে অর্ধেক দিন কাটান বাবি। গোটা সময় জুড়ে একেবারে বাধ্য মেয়ের মতো গ্রাহকের আবদার মেটান তিনি। অনেকে নাকি একাধিকবার তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে ফিরে আসেন। এমনটাই দাবি ওই তরুণীর।
আরও শুনুন: পাঁচ বছর ধরে থামছেই না বাতকর্ম, খাবারের দোকানের কাছে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি ব্যক্তির
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সেই সুবাদে অনেকেই তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন। স্বাভাবতই বাবির রোজগারও হয় বেশ ভালোই। বছরে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা এই কাজের দরুন উপার্জন হয় তাঁর। যদিও এই পেশায় তিনি নতুন নন। এর আগে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজের লাস্যময়ী ছবি পোস্ট করতেন তিনি। সেখানেও নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে সেইসব ছবি বা ভিডিও সংগ্রহ করতে পারতেন যে কেউ। তবে প্রথম থেকেই তিনি যা করেন সবটা অনলাইনেই করেন। তাই স্ত্রী হিসেবে প্রক্সি দেওয়ার পেশাকেও পরকীয়া বা অন্য কোনও আখ্যা দিতে নারাজ তরুণী মডেল।