আপনি লম্পট, না চরিত্রবান, তা কিন্তু সব সময় আপনার ইচ্ছে-অনিচ্ছের উপর নির্ভর করে না। সামাজিক কারণও সব সত্যি বলে না। বরং হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে আপনার মনের চলন। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, যে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকে, সাধারণত তারাই বহুগামী হয়ে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও কি ব্যাপারটা এক? আসুন শুনে নিই।
সবটাই ‘কেমিক্যাল লোচা’। সবটাই নাকি টেস্টোস্টেরনের খেলা। যে সব পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি, তাদের যৌন খিদেও বেশি। একই কারণে এই পুরুষেরা সচরাচর জীবনসঙ্গীকে ধোঁকা দিয়ে থাকে। এমনকী শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রার উপরেই নির্ভর করে পুরুষের বিবিধ ব্যবহার। এমনই বলছে একটি গবেষণা।
সম্প্রতি শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ও তার ফলাফল নিয়ে গবেষণা করেছে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন ও ট্রপিকাল মেডিসিন। গবেষণাপত্রে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন গবেষকরা। সাধারণত যে বিষয়গুলিকে সামাজিক যুক্তি দিয়ে বুঝে থাকি আমরা, তা মোটেই সামাজিক নয়, বরং হরমোনের খেলা, এমনটাই দাবি গবেষকদের। তাঁদের মতে, যে সব পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্র বেশি, তারাই বহু নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
আরও শুনুন: নিরুদ্দেশের উদ্দেশে ঘোষণা… পুলিশের দলে ভিড়ে নিজেই নিজেকে খুঁজতে বেরোলেন প্রৌঢ়
এই বিষয়ে ১ হাজার ৫৯৯ জন পুরুষ ও ২ হাজার ১৩৩ জন নারীর উপরে গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। তারপরেই একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য জানিয়েছেন তাঁরা। যেমন, যে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি তারা গত পাঁচ বছরে একাধিক নারীর শয্যাসঙ্গী হয়েছে। অন্যদিকে যে নারীর শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি তারা যৌনতা তাড়িত হয়ে সমলিঙ্গের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে থাকে। স্বমৈথুনও লিপ্ত হয় এরা।
কোন পুরুষের শরীরে কতখানি টেস্টোস্টেরন থাকবে তাও নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিবাহিত, সন্তানের পিতা, দীর্ঘদিন ধরে একটি সম্পর্কে থাকা পুরুষদের শরীরে হরমোন তুলনায় কমে যায়। এছাড়াও বয়স, ওজন ও ঋতুর উপর নির্ভর করে পুরুষ ও নারীর শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। ঋতুর ব্যাপারটা বেশ মজার। গ্রীষ্ণকালে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন যায় কমে, অপরপক্ষে মেয়েদের শরীরে হরমোনের মাত্রা তখন বেড়ে যায়।
আরও শুনুন: বিমান থেকে মানুষের মল এসে পড়ল মাথায়, নিজের বাগানেই নাস্তানাবুদ হলেন এক ব্যক্তি
তবে ‘ক্যামিকেল লোচা’ গুরুত্বপূর্ণ বলা হলেও, গবেষকরা এও জানিয়েছেন, সামাজিক ব্যাপারটাও কম গুরুত্বের নয় মোটেই। তাই সামাজিক চাপ না থাকায় ছেলেরা যখন বহুগামী, সামাজিক চাপের কারণে মেয়েরা তখন সমলিঙ্গের সঙ্গে অথবা স্বমৈথুনে যৌন খিদে মেটাতে বাধ্য হয়।