সিনেমা হোক বা বাস্তব, মহিলা সঙ্গীর হাজারো শখ মেটাতে অনেক পুরুষই কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়েন। অথচ মুখ ফুটে বলার উপায় নেই। হাজার হোক ভালোবাসার মানুষ! কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষটাই যদি চাহিদাহীন হন? একজন পুরুষের যাবতীয় চাহিদা মেটানোর বিনিময়ে তিনি যদি কিচ্ছুটি দাবি না করেন? তাহলে তো অনেকেই সেই ‘মহিলার’ সঙ্গে ঘর বাঁধতে চাইবেন। কিন্তু বাস্তবে এমন কাউকে খুঁজে পাবেন কোথায়? আসুন শুনে নিই।
এই মহিলার শরীরী আবেদন দেখে লজ্জা পাবেন নীল জগতের অভিনেত্রীরাও। অথচ তার না আছে কোনও শখ আহ্লাদ, না আছে কোনও চাহিদা। উপরন্তু অন্য কারও যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য তিনি সবসময় প্রস্তুত। তবে যার কথা বলছি, তিনি রক্তমাংসের কেউ নন। স্রেফ একটি যৌন পুতুল। কিন্তু তাতে কী! এমন চাহিদাবিহীন মহিলার সঙ্গে অনেকেই যে সারাজীবন কাটাতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই বাস্তবে হয়েছেও ঠিক তেমনটাই। বিশ্বজুড়ে এমন অনেকেই আছেন যাঁদের জীবনসঙ্গী স্রেফ একটি যৌন পুতুল।
আরও শুনুন: সঙ্গম-দৃশ্যে হাজির ৯০০ বার, পড়েছেন মৃত্যুর মুখেও! অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুললেন পর্ন-তারকা
প্রথমেই বলতে হয় কাজাকস্তানের এক বডি-বিল্ডারের কথা। বছর তিনেক আগে এক নাইটক্লাবে একটি যৌন পুতুলের ‘প্রেমে’ পড়েন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে সেই পুতুলটিকে ঘটা করে ‘বিয়ে’-ও করেন। সেইসময় অনেকেই তাঁর এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো ব্যঙ্গ করে। কিন্তু কিছুদিন পরেই যখন করোনা মহামারীর দাপটে লকডাউন জারি হয়, সেই সময়ে গৃহবন্দি অবস্থায় নিজের চাহিদাহীন স্ত্রী-কে নিয়ে বেজায় আনন্দে দিন কাটাতে শুরু করেন ওই বডি-বিল্ডার। তাঁর দাবি, ওই সময় তাঁর বেশিরভাগ অবিবাহিত বন্ধুই নাকি যৌনতার আশায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করত। সেখানে নিজের ইচ্ছামতো উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতেন তিনি।
এরপরেই বলতে হয় অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তির কথা। তাঁর বয়স ৫৪ পেরোলে কী হবে, মনের দিক দিয়ে তিনি এখনও তরতাজা যুবক। তিনিও ওই করোনা মহামারির সময়টা কাটিয়েছিলেন এক যৌন পুতুলের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তার সঙ্গেই সম্পর্ক গভীর হয় ওই ব্যক্তির। ভবিষ্যতে পুতুলটিকে তাঁর জীবনসঙ্গীও বানিয়ে নেন তিনি। তালিকায় এরপরেই রয়েছেন এক মার্কিন যুবক। তিনিও এক যৌন পুতুলের প্রেমে পড়েন। অন্যদের মতো তিনিও ওই পুতুলটিকে বিয়ে করেন। কিন্তু এর ফলে বেজায় সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। কারণ তাঁর বন্ধুদের এই কাজ মোটেও পছন্দ হয়নি। ফলে তাঁরা ওই যুবকের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। যদিও এই একা হয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। এখানেই শেষ নয় তালিকা। কলম্বিয়ার এক ব্যক্তিও একটি যৌন পুতুলের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। তবে তাঁর গল্পটা কিছুটা হলেও আলাদা। শুধু যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহার করা নয়, ওই সেক্স ডল-কেই তাঁর জীবনের একমাত্র প্রেম হিসেবে দাবি করতেন ওই ব্যক্তি। একজন রক্তমাংসের মানুষকে যেমন সম্মান দেওয়া হয়, পুতুলটিকেও সেভাবেই দেখতেন তিনি। এমনকি তিনি দাবি করতেন ওই পুতুলের গর্ভে তিনি সন্তানের জন্মও দিয়েছেন।
আরও শুনুন: হাতে শ্যাম্পেন, স্নানঘরে খুলে ফেলছেন পরনের তোয়ালে, ভিডিও শেয়ার করে ঝড় তুললেন অভিনেত্রী
এইসব ঘটনা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে, কিন্তু এঁরা নিজেদের সঙ্গীকে নিয়েই এতটুকু মজা করতে রাজি নন। প্রত্যেকেই মনে করেন তাঁদের একাকিত্ব কাটানোর একমাত্র অবলম্বন ছিল ওই পুতুলগুলোই। উপরন্তু তাদের না আছে কোনও চাহিদা না আছে কোনও দাবি-দাওয়া। তাই মনের আনন্দে ওই পুতুলের সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটয়ে দিতে চান সকলেই।