ব্যাপারটা যে বেশ আলাদা, একটা সময় অবধি কারোই নাকি তা মনে হয়নি! এমনকী খোদ মেহমত আজিউরেকও জানতেন না, যে তিনি একজন স্পেশাল ওয়ান! কোথায় স্পেশাল? নাকের কারণে। মেহমত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নাকের মালিক। এই কারণেই গিনেস রেকর্ডের মালিক হয়েছেন তিনি। মেহমতের নাক কতখানি লম্বা? জানলে পিলে চমকাবে আপনার।
কথায় বলে ‘নাক গলানো’। মেহমত আজিউরেকের কিন্তু নাক গলাতে মোটেই সমস্যা নেই। কারণ মেহমতের নাক এতটাই বড় যে তার খানিকটা গলে গেলেও খুব ক্ষতি নেই। এই বিষয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকেও নাম তুলে ফেলেছেন তিনি।
তুরস্কের বাসিন্দা মেহমত আজিউরেক। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আর পাঁচজনের মতোই তাঁর শরীরের অঙ্গপ্রত্যাঙ্গগুলিও বড় হতে শুরু করে। কিন্তু সমস্যা হল, মেহমতের নাকটি বাড়াবাড়ি বড় হয়ে ওঠে। যেন ঠোঁটের উপরে বড়সড় এক ঝুলবারান্দা! মেহমতের এখন ৭১ বছর বয়স। একটা বয়স অবধি এই বিষয়ে আত্মীয়-পরিচিতরা পাত্তা দেয়নি। মানে মেহমতের নাকই যে এই পৃথিবীর জীবিত মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাক, এতটাও কেউ ভাবেননি। খোদ মেহমতও এই বিষয়ে মাথা ঘামাননি তত। কিন্তু বছর দশেক আগে একটি রিয়েলিটি শ্যো-তে ডাক পান মেহমত আজিউরেক। তারপরেই মেহমতের অস্বাভাবিক লম্বা নাক চোখে পড়ে সবার। এরপরই গিনেস বুক সংস্থা মেহমতের নাক মেপে দেখে। এবং দেখা যায়, মেহমতের নাকটি লম্বায় ৮.৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ কিনা ৩.৪৬ ইঞ্চি। যা বর্তমান পৃথিবীতে জীবিত মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাক।
আরও শুনুন: ক্যানসার সামলে জনসেবা, কীভাবে দিল্লির ‘মটকা ম্যান’ হয়ে উঠলেন নটরাজন?
হাল আমলে, মান দু-হাজার একুশেও মেহমতকে কেই চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি। ফলে লম্বা নাকের ব্যাপারে গিনেস রেকর্ডে এখনও একমেবাদ্বিতীয়ম তিনিই। তবে কিনা এই গ্রহে মেহমতের চেয়েও লম্বা নাকওলা মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন আঠেরোশো শতকের মানুষ। নাম থমাস ওয়েডার্স। ইংল্যান্ডের ইয়র্কসায়ারের বাসিন্দা। পেশায় সার্কাসের শিল্পী। সবচেয়ে বড় কথা বিস্ময় জাগানো নাক ছিল থমাসের। মাপ জানলে ভিড়মি খেতে হয়। কত লম্বা ছিল? থমাসের নাকের দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ কিনা ৭.৫ ইঞ্চি।
আরও শুনুন: দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হবে বিয়ে করতে… এই গ্রামে সবাই জানে মাদারি কা খেল!
বলাই যায়, মেহমত যদিও বা কোনও বিষয়ে নাগ গলানোর আগে একটু-আধটু ভাবলেও ভাবতে পারেন, তবে কিনা থমাসের নাক এতটাই বেশি লম্বা ছিল যে তার এই বিষয়ে ভাববার কোনওরকম প্রয়োজনই ছিল না।