প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগার করছেন প্রেমিকা। সেই টাকার ভাগ চাই যুবকের। কারণ প্রেমিকাকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন তিনিই। নেটদুনিয়ায় সম্প্রতি এমনই দাবি তুলেছেন এক যুবক। তাঁর কথা শুনে চটে লাল নেটিজেনদের একাংশ। কিন্তু নেপথ্যে আরও যা যুক্তির তিনি শুনিয়েছেন, তাতে অনেকেই তাঁর প্রেমিকাকে নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ঠিক কী বলেছেন ওই যুবক? আসুন শুনে নিই।
স্বামীর চেয়ে বেশি টাকা রোজগার করেন স্ত্রী। বর্তমান যুগে এতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। এই যুগলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তেমন। যুবক যা রোজগার করেন তার প্রায় কয়েকগুণ আয় তাঁর প্রেমিকার। এই নিয়ে কোনও সমস্যাও নেই যুবকের। তাঁর স্রেফ ভাগ চাই। অর্থাৎ প্রেমিকার রোজগারের থেকে কিছুটা অংশ তাঁকেও দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই যুবক।
আরও শুনুন: ৭০ বছর বয়সে ঘরে বিদ্যুৎ, বৃদ্ধার খুশির নেপথ্যে এই মহিলা আইপিএস
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় তাঁর এই দাবি প্রকাশে এসেছে। যা দেখার পর রীতিমতো অবাক নেটিজেনরাও। তবে টাকা চাওয়ার নেপথ্যে যুবক যা যুক্তি সাজিয়েছেন, তা প্রথমবার শুনে বেজায় চটেওছেন অনেকেই। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক। প্রথম থেকেই দুজনে একসঙ্গে থাকেন। কিন্তু সে সময় যুবকের রজগার তেমন ছিল না। তাই তিনিই প্রেমিকাকে বলেন কিছু না কিছু কাজ খোঁজার জন্য। সহজ উপায় হিসেবে প্রথমেই উঠে আসে বড়দের ওয়েবসাইটের কথা। সেখানে কাজ করে অনেকেই মোটা টাকা রোজগার করেন। কাজ বলতে লাস্যময়ী ছবি দেওয়া আর গ্রাহকদের খানিক বিনোদন দেওয়া। সবের বিনিময়েই নির্দিষ্ট মূল্য। যেহেতু পুরোটাই অনলাইনে তাই প্রথমদিকে স্বচ্ছন্দে প্রেমিকাকে এই কাজ শুরু করতে বলেন ওই যুবক। প্রেমিকাও খুশি মনে রোজগার শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে রোজগার। আর এতেই মন বদল হতে থাকে যুবকের। সারাদিন কাজ করেও তিনি যা উপার্জন করতেন, ঘরে বসে তার কয়েকগুণ রোজগার করতেন প্রেমিকা। একসময় তা মাসিক আট লাখ টাকায় পৌঁছায়। এরপর আর চুপ করে থাকেননি যুবক। সরাসরি সেই টাকার ভাগ চেয়ে বসেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, প্রেমিকাকে এই কাজের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তাই তাঁরও ভাগ চাই।
আরও শুনুন: একটা গানের জন্য নেন ৩ কোটি! অরিজিৎ বা সোনু নন, দেশের এই গায়ক কে জানেন?
প্রথমে এই দাবি শুনে বেজায় চটেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। সকলেই একযোগে এই দাবি একেবারেই অনুচিত বলে জানিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রেমিকাও সাফ জানিয়ে দেন, কোনও টাকার ভাগ তিনি দেবেন না। এরপরই ফের মুখ খোলেন যুবক। তাঁর দাবি, একসময় যে কারণে তিনি এই অনুমতি দিয়েছিলেন বর্তমানে স প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই প্রেমিকা এখন তাঁর নিজের রোজগারের টাকায় রীতিমতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। এদিকে যুবকের জীবনে বিশেষ কোনও পরিবর্তন আসেনি। উলটে সংসারের চাপও তাঁর উপরেই বলে দাবি করেন তিনি। এসব শুনে অবশ্য নেটিজেনদের অনেকেই তাঁর প্রেমিকাকে কটাক্ষ করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁদের এই বিতর্ক নিয়ে বেশ শোরগোল নেটদুনিয়ায়।