লটারিতে পেয়েছেন বিপুল টাকা। বিলাসবহুল জীবন-যাপনের সব আয়োজন পাকা। কিন্তু ঘটনা হল তিনি সিঙ্গল! একা একা কি এই বিলাসী জীবন কাটানো যায়! তাই এবার সঙ্গীনীর খোঁজে এক যুবক। আসুন শুনে নিই তাঁর গল্প।
লটারি অনেকেই জেতেন। রাতারাতি হয়ে যান বিপুল অর্থের মালিক। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় যে, এই লটারির অর্থ তাঁরা কীভাবে খরচ করবেন? তাহলে অনেকেই ভাবনায় পড়ে যান। কেউ কেউ প্রাপ্ত অর্থের কিছুটা দান করে দেন। বাকি অংশ ব্যক্তিগত কাজে লাগান। কেউ আবার ব্যবসা শুরু করেন বা লাভজনক সংস্থায় বিনিয়োগ করেন। তবে এক জার্মান যুবক লটারি জেতার পর চাইছেন বিয়ে করতে।
আরও শুনুন: ‘আমি যাব না বলে স্কুল তো আর বন্ধ হবে না!’ পড়ুয়ার মজাদার ছুটির দরখাস্তে মজে নেটপাড়া
যুবকের নাম কুরসত ইলদিরিম। ছিন্নমূল পরিবারের সন্তান তিনি। কষ্ট সহ্য করেই বড় হয়ে উঠেছেন। চাকরি করতেন একটি স্টিল ফ্যাক্টরিতে। জীবন একরকম গয়ংগচ্ছ ভাবে চলেই যাচ্ছিল। আচমকাই চমক! জীবনের পথের বাঁকে যে এমন বিস্ময় অপেক্ষা করে ছিল তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি ওই যুবক। নেশা ছিল লটারির টিকিট কাটার। একদিন তাতেই প্রসন্ন হলেন ভাগ্যলক্ষ্মী। প্রায় ৮২ কোটি টাকা জিতলেন তিনি। রাতারাতি বদলাল জীবন। এখন চাকরি ছেড়েছেন। এখন তাঁর কাছে দামি ঘড়ি থেকে বিলাসবহুল গাড়ি সবই আছে। কিন্তু এভাবে বিলাসবহুল জীবন-যাপনেও তেমন খুশি নন তিনি। কেননা এখনও তিনি সিঙ্গল। আর তাই তাঁর ইচ্ছে এবার তিনি বিয়ে করবেন। যুবক জানাচ্ছেন, হাতে অর্থ আছে। তাই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। খুঁজে পেতে চান তাঁর মনের মানুষকে। যাঁকে সঙ্গে নিয়েই আগামীর বিলাসী জীবন কাটাতে চান তিনি। একা একা নয়, হাতে যা অর্থ আছে তা খরচ করতে চান একসঙ্গে।
আরও শুনুন: যেন দশভুজা! বাচ্চাকে কোলে নিয়েই বক্তৃতা আইএএস অফিসারের, মুগ্ধ নেটদুনিয়া
ভালোবাসার মানুষ কবে আসবেন তা অবশ্য তিনি জানেন না। তবে নিজের প্রকৃত ভালোবাসাকে তিনি আজও ছাড়েননি। তা হল লটারি খেলা। ১৫ বছর ধরে এই ভালোবাসার নেশায় বুঁদ। যুবক জানাচ্ছেন, এখন তা আর ছাড়া যায় নাকি!