মানুষ মদ খায়, কিন্তু মদও কি মানুষকে খেতে পারে? এই প্রশ্নে বোধহয় ইতিবাচক উত্তরই দেবেন এই যুবক। কারণ, মদের নেশায় এক-দুদিন নয়, একেবারে এক মাস ধরেই যে ঘোর কাটেনি তাঁর। আসুন, শুনে নেওয়া যাক সে কাণ্ড।
ঠিক কতটুকু মদ খেলে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। ফলে যাঁরা নেশার প্রতি আসক্ত, তাঁরা অনেকসময়ই সাধ্যের অতিরিক্ত মদ্যপান করে বসেন। আবার যাঁদের তেমন নেশা নেই, তাঁরাও কখনও কখনও দলে পড়ে কিংবা খেয়াল না করে বেশি মদ খেয়ে ফেলেন। যার অবধারিত ফল হ্যাংওভার। মদের আসর নাহয় রাতেই শেষ হল, কিন্তু পরদিন ঘুম ভাঙলেও সেই মদ যেন আর পিছু ছাড়ে না। মাথাব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা, গলা শুকিয়ে আসা, এমন নানারকম শারীরিক অস্বস্তি লেগেই থাকে। আর সেই অস্বস্তিতেই রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছিলেন এই যুবক। এতটাই, যে, হ্যাংওভারের নয়া রেকর্ড পর্যন্ত গড়ে ফেলেছেন তিনি। সবচেয়ে লম্বা হ্যাংওভারের রেকর্ড এখন তাঁরই দখলে।
আরও শুনুন: দেশের সবথেকে বড় পর্নস্টার, তাহলে কর দিতে হবে কেন! কে তুললেন দাবি?
সাধারণত হ্যাংওভার হলেও তার মেয়াদ থাকে বড়জোর এক দিনই। বলা ভালো, মদ্যপানের পরের দিন ঘুম ভাঙার পরই হ্যাংওভার টের পাওয়া যায়, আর তা কাটতে একটু সময় লাগে। তা বলে গোটা এক মাস জুড়েই হ্যাংওভার? আজ্ঞে হ্যাঁ, এই যুবকের ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক তেমনটাই। এক দুদিন নয়, টানা ২৮ দিন ধরেই নাকি তাঁর নেশার ঘোর কাটেনি। বলাই বাহুল্য, তাতে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছিলেন বছর সাঁইত্রিশের যুবক। শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের কাছেও ছোটেন তিনি। আসলে তিনি তো বুঝতেই পারছিলেন না ঠিক কী কারণে এমন অস্বস্তি হচ্ছে তাঁর। যেখানে মাথায় আঘাত লাগেনি, বা তেমন কোনও শারীরিক সমস্যাও হয়নি, সেখানে কী এমন ঘটল যে তাঁর এই উপসর্গগুলি দেখা দিচ্ছে? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নাজেহাল হন চিকিৎসকেরাও। তবে শেষমেশ রোগ ধরেন চক্ষু চিকিৎসক। তিনি বলেন, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই ঘটেছে এমনটা।
আরও শুনুন: স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করবেন পড়শি যুবক! ৭২ বার ‘দায়িত্বে’ ব্যর্থ হতেই মামলা স্বামীর
অতিরিক্ত মানে কতটা? জানা গিয়েছে, একটু আধটু নয়, একেবারে ৩৪ লিটার বিয়ার খেয়েছিলেন ওই যুবক। আর তার জেরেই ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল তাঁর। মাসখানেক পর মোটামুটি রেহাই পেলেও, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে প্রায় ছ মাস লেগেছিল তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন ওই যুবক।