ক্যানসারের জন্য নষ্ট হয়েছে একটি চোখের মণি। তবু ভেঙে না পড়ে নষ্ট হওয়া মণিটিকেই ফ্ল্যাশলাইটে বদলে ফেলেছেন এক ব্যক্তি। যার আলোতে অন্ধকার ঘরেও দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। শুনতে অবাক লাগলেও, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এমনই অবাক কাণ্ড। কিন্তু এমন কাজ কীভাবে করলেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মারণরোগ কেড়ে নিয়েছে একটি চোখ। তবু সৃষ্টিশীলতা কমে যায়নি এতটুকু। অদম্য মনের জোরেই নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখটিকে বদলে ফেলেছেন ফ্ল্যাশলাইটে। চোখের মণিতেই লাগিয়ে দিয়েছেন ছোট্ট একটি বৈদ্যুতিন আলো। যার মাধ্যমে অন্ধকারের মধ্যেও দিব্যি কাজ করতে পারছেন তিনি। আর সেই অন্ধকারে চোখের আলোয় কাজ করার ভিডিও নেটমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই, রাতারাতি ভাইরাল জনৈক মার্কিন প্রযুক্তিবিদ।
আরও শুনুন: ভারতবর্ষে মুসলমানও প্রশাসনের শীর্ষে যেতে পারে, পাকিস্তানকে জবাব IAS শাহ ফয়জলের
মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সেই চোখে চিরকালের মতো অন্ধকার নেমে আসে আমেরিকার প্রযুক্তিবিদ ব্রায়ান স্ট্যানলির। মারণরোগ ক্যানসারের প্রকোপে তাঁর বাঁ চোখটি চিরকালের মতো নষ্ট হয়ে যায়। অল্প বয়সে এমন বিভীষিকা মেনে নেওয়া মোটেও সহজ ছিল না ব্যায়ানের কাছে। তবু তাঁর অদম্য মনের জোরের সামনে হার মানতে বাধ্য হয়েছে শারীরিক অক্ষমতা। নিজেই সিদ্ধান্ত নেন নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখের জায়গায় একটি কৃত্রিম চোখ বানাবেন তিনি। আর সেই কৃত্রিম চোখ বানানোর পরই তার ভিতর জুড়ে দেন একটি খুবই ছোট আকারেরে ফ্ল্যাশলাইট। তারপর কিছু বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে সেই ফ্ল্যাশলাইটের সঙ্গে জুড়ে দেন ব্যাটারি। আর এভাবেই চোখের মধ্যেই আলো জ্বালানোর ব্যবস্থাও করে ফেলেন তিনি। নিজের এমন অদ্ভুত কীর্তির কথা সকলকে জানানোর উদ্দেশ্য নিয়েই করে ফেলেন একটি ভিডিও। যা দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনরা।
আরও শুনুন: ধর্ম বাধা নয়, পাকিস্তানের মানুষ সযত্নে আগলে রেখেছেন শংকরাচার্যের স্মৃতি
ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক চোখ বন্ধ অবস্থায় মোবাইলে ভিডিও করতে আরম্ভ করলেন ব্রায়ান। তারপর ধীরে ধীরে সেই বন্ধ চোখ খুলতেই জ্বলে উঠল আলো। আপাতদৃষ্টিতে যা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটের মতোই মনে হতে পারে। কিন্তু তারপরই ঘরের আলো নিভিয়ে দিলেন ব্রায়ান। এবং সেই অন্ধকারের মধেই তাঁর চোখের মধ্যে জ্বলতে থাকা আলোয় দিব্য হেঁটে বেড়ালেন এদিক ওদিক। এমনকি ওই আলো জ্বেলে অন্ধকারের মধ্যেই বই পড়তেও দেখা গেল তাঁকে। একইসঙ্গে সেই ভিডিওতে বিভিন্ন লেখা ফুটে উঠতেও দেখা গেল। জানা গেল ওই কৃত্রিম আলো নাকি ২০ ঘণ্টা একটানা জ্বলাতে পারে। আর এতে তাঁর শরীরের অন্য কোনও অঙ্গের ক্ষতিও হচ্ছে না। প্রযুক্তিবিদের এই মনের জোর আর অবাক কান্ড দেখে একরকম তাজ্জবই হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।