অন্যদের জীবনে সুখের হদিশ দেওয়াই নেশা। আর সেই কারণেই প্রায় সান্তা ক্লজের মতো উপহার লুকিয়ে রাখেন এই ব্যক্তি। তবে অন্য কোনও জিনিস নয়, স্রেফ যৌন খেলনাই তাঁর উপহার। একদিন দুদিন নয়, টানা ১২ বছর ধরে সেক্স টয় বিলিয়ে চলেছেন তিনি। শুনে নেওয়া যাক।
হ্যাপি প্রিন্সের গল্পে সকলকে সুখী করতে চাইত রাজকুমার। আর তাই রাতের আঁধারে প্রিয় পাখিটির মাধ্যমে সে লোকজনের কাছে পৌঁছে দিত সোনাদানা। লুকিয়ে, যাতে কেউ তা জানতে না পারে। এই ব্যক্তিও খানিক তেমনটাই করেন যেন। তিনিও চেনা অচেনা লোকজনের জন্য উপহার রেখে আসেন, তবে লুকিয়ে। আর সেই উপহার খুঁজে পেয়ে অন্যদের মুখে যে হাসি ফোটে, তাতেই খুশি এই ব্যক্তি। কারণ তিনি তো যে কোনও কিছু উপহার দেন না। বিশেষ একটি জিনিসই এতদিন ধরে সকলকে দিয়ে আসছেন তিনি। তা আর কিছুই নয়, যৌন খেলনা। সকলকে যৌন সুখ বিলি করেই নিজের সুখ খুঁজে পান এই ব্যক্তি।
আরও শুনুন:
মৌন যৌনতায় জোয়ার আনা চকোলেট বিকোচ্ছে বাজারে, খাঁটি না বুজরুকি?
হ্যাঁ, আমেরিকার বাসিন্দা জ্যাক এই কাজই করে আসছেন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। যেখানে সেখানে সেক্স টয় লুকিয়ে রেখেই লোককে আনন্দ দেন তিনি। কখনও রাস্তার পাশে, কখনও ডাস্ট বিনে, কখনও প্রতিবেশীদের বাড়ির আশপাশে এমনভাবেই সেগুলো রাখেন তিনি, যা সহজেই মানুষের নজরে পড়বে। ১২ বছরে আমেরিকা এবং কানাডার বিভিন্ন শহরের রাস্তায় প্রায় ১০০০ সেক্স টয় লুকিয়েছেন জ্যাক।
কিন্তু হঠাৎ কেন এহেন শখ হয়েছিল তাঁর?
জ্যাক জানিয়েছেন, তিনি স্নাতক হওয়ার পর পাকাপাকি ভাবে চাকরি পাওয়ার আগে একটি জিনিসপত্রের গুদামে কাজ করতেন। সেই গুদামে মূলত সেক্স টয় থাকত, আর সেখান থেকেই সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হত। ঘটনাচক্রে একটি বড় অর্ডার ট্যাক্সের গেরোয় আটকে গিয়েছিল। সব ঝামেলা যখন মেটে, ততদিনে গ্রাহক সংস্থাও পাততাড়ি গুটিয়েছে। ফলে চিন থেকে আসা সেক্স টয়গুলি গুদামেই পড়ে ছিল। জ্যাকের দাবি, সেখান থেকে মোট ৯৬০টি যৌন খেলনা তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। প্রথমে সেগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করেন, কিন্তু মাত্র গোটা তিনেকের বেশি বিক্রি করে উঠতে পারেননি। এরপর এক বন্ধুর পরামর্শে সেই পুতুল বিলিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন তিনি। রাতের অন্ধকারে এক এক করে পুতুলগুলি প্রতিবেশীদের বাড়ির লনে রেখে আসতে শুরু করেন জ্যাক। তিনি জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত, সেগুলি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন অন্যরা।
আরও শুনুন:
এক সঙ্গমেই বহুবার তৃপ্তি পেতে পারেন নারীরা, কামসূত্রেই আছে হদিশ
সেক্স টয় খুঁজে পেলে কেউ যে তা খুশিমনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, এ থেকেই জ্যাক ঠিক করেন, এবার দেশের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় তা লুকিয়ে রাখবেন তিনি। আমেরিকা, কানাডার পাশাপাশি মেক্সিকোতেও তিনি সেই পুতুলগুলি রেখে আসতে শুরু করেন। মানুষজনের জীবনে আর কিছু না হোক, যৌনসুখের খোঁজ দিতে পারলেও তিনি খুশি হবেন- এমনটাই এখন ভাবেন ওই ব্যক্তি। মাঝে কোভিড আবহে এ কাজে খানিক ভাটা পড়েছিল বটে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবার পুরনো কাজে মন দিয়েছেন তিনি।