দোলনায় দুলতে কে না ভালবাসে! ছোটরা তো দোলনা দেখলেই ছুট লাগায়, বড়রা তা না করতে পারলেও ছোটবেলার সেই নস্টালজিয়া তো রয়েই যায়। আর সেই নস্টালজিয়ার হাত ধরেই এবার গিনেস বুকে নাম লিখিয়ে ফেললেন এক প্রৌঢ়। কীভাবে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দোলনায় চড়ার প্রতি সব মানুষেরই এক অদ্ভুত আকর্ষণ থাকে। তবে হ্যাঁ, বাচ্চারা যেমন দোলনা দেখলে ছুটে যেতে পারে, বয়সটা বেড়ে গেলে আর তা করে উঠতে পারেন না অনেকেই। আরে বাবা, চক্ষুলজ্জা বলেও তো একটা ব্যাপার আছে, নাকি? কিন্তু লজ্জা যতই পিছু টেনে ধরুক, দোলনার প্রতি সেই শৈশবের আকর্ষণের টানও যে সমান জোরালো। আর সেই আকর্ষণকেই বেশি গুরুত্ব দিলে যে কী হতে পারে, সে কথাই সম্প্রতি প্রমাণ করে দিলেন এক ব্যক্তি। স্রেফ দোলনায় চড়ার কারণেই খোদ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠল তাঁর। যা দেখে বিস্ময়ে হতবাক নেট দুনিয়া।
আরও শুনুন: বউ কেনার জন্য এই মেলায় যান যুবকেরা, মেয়েদের দরদাম করতে ডাকা হয় নিলামও
ঠিক কীভাবে গিনেস বুকের পাতায় জায়গা করে নিলেন ওই ব্যক্তি? আসছি সে কথাতেই।
শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক না কেন, অদ্ভুত সব কারণে গিনেস বুকে নাম তুলে ফেলেন একেকজন। ব্যতিক্রম নন ইনিও। একটি পুরনো বিশ্বরেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তবে গিনেস বুকে নিজের নাম তোলার জন্য পাহাড়ে চড়ার দরকার হয়নি তাঁর, কাজ মিটে গিয়েছে স্রেফ দোলনা চড়েই। কারণ, এক দুই ঘণ্টা নয়, গুনে গুনে ৩৬টি ঘণ্টা দোলনায় দুলেই কাটিয়ে ফেলেছেন ওই ব্যক্তি।
ইংল্যান্ডের অধিবাসী এই মানুষটির নাম রিচার্ড স্কট। বয়সও নয় নয় করে একান্ন বছর। অর্থাৎ প্রায় প্রৌঢ়ই বলা চলে তাঁকে। কিন্তু বয়সের কথা ভেবে দোলনায় দুলতে পিছপা হননি রিচার্ড। দোলনা চড়তে ভালবাসলেও তার আসনটি যে দীর্ঘক্ষণ বসার জন্য একেবারেই উপযোগী নয়, তা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টার দোলনা-পর্ব শেষ করেও উৎসাহী রিচার্ডের বক্তব্য, সামান্য পা ধরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও সমস্যাই হয়নি তাঁর। লোখ লেভেন এলাকার লার্ডার ক্রিকেট পিচে থাকা একটি দোলনায় তিনি যখন দুলতে শুরু করেছিলেন, তখন শনিবারের সকাল। ঘড়ির কাঁটা সময় দেখাচ্ছিল ৬টা বেজে ১০ মিনিট। আর রিচার্ড যখন দোলনা থেকে নামলেন ততক্ষণে রবিবারের বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৫ মিনিট করে ছুটি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সবগুলি ছুটি কাজে লাগিয়ে রাত ৩টে নাগাদ একটু ঘুমিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন রিচার্ড।
আরও শুনুন: এখানে এলে সম্পর্ক নাকি আর ভাঙেই না! প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভরসা জোগায় এই পার্ক
এর আগে দোলনা চড়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন কুইন লেভি নামের এক ব্যক্তি। ২০২০ সালে ৩৪ ঘণ্টা একটানা দোলনা চড়ে গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন তিনি। আর এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন রিচার্ড স্কট।