মায়ের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে এনেছন এক ব্যক্তি। দেহটিকে যত্ন করে সোফায় বসিয়েছেন তিনি। তারপর নিশ্চিন্তে গল্পও করছেন তাঁর সঙ্গে। কী ভাবছেন, কোনও সিনেমার দৃশ্য? একেবারেই না। বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আসুন শুনে নিই , বিস্তারিত ভাবে।
মাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। তাঁর মৃত্যু মানতেই পারেননি এই ব্যক্তি। তাই মা মারা যাওয়ার পর, কবর খুঁড়ে সেই মৃতদেহ তুলে আনেন তিনি। তারপর দেহটিকে সংরক্ষণ করে রাখেন দীর্ঘদিন। প্রায় ১৩ বছর ওইভাবে কাটানোর পর প্রকাশ্যে আসে তাঁর এই অদ্ভুত কীর্তি।
আরও শুনুন: বাড়ছে কর্মহীনতার সংকট! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে চাকরি খোয়াবেন ৩০ কোটি মানুষ, দাবি সমীক্ষায়
ঘটনাটি পোল্যান্ডের। মারিয়ান নামের এই ব্যক্তি সে দেশের বাসিন্দা। মায়ের প্রতি তাঁর টান এতটাই বেশি ছিল যে মায়ের মৃত্যু কার্যত মানতেই পারেননি তিনি। তাই মা মারা যাওয়ার পরেও তিনি ঠিক করেন মায়ের দেহটিকে নিজের কাছেই রাখবেন। সেইমতো দেহটিকে কবর থেকে তুলে আনেন তিনি। সেটিকে বিভিন্ন রাসয়নিক মাখানো কাপড়ে মুড়ে দেন। তারপর দেহটিকে বসিয়ে রাখেন ঘরের সোফায়। যেন তাঁর মা আবার ফিরে এসেছেন। এভাবে ওই মৃতদেহ ঘরে রেখেই দিন কাটাতে শুরু করেন তিনি। এক দুদিন নয়। প্রায় ১৩ বছর ওই মৃতদেহের সঙ্গেই দিন কাটিয়েছেন মারিয়ান। সম্প্রতি এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনিই ঘরের ভিতর ওই মৃতদেহটিকে আবিষ্কার করেন। তারপর খবর পাঠান পুলিশের কাছে।
আরও শুনুন: ছিলেন সেনা, বর্তমানে উবর চালক, যাত্রীকে কিডনি দান করে কুর্নিশ আদায় ব্যক্তির
ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন সে দেশের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পুলিশি বয়ান অনুযায়ী, তাঁরাই মারিয়ানের মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। একইসঙ্গে মারিয়ানকে গ্রেপ্তার করেন। তবে আপাতত তিনি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও প্রিয় মানুষের মৃতদেহ ঘরের মধ্যে রেখে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সব জায়গাতেই নেপথ্যে কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছিল প্রয় মানুষের মৃত্যু মানতে না পারা। এতদিন যার সঙ্গে দিন কাটিয়েছেন, তিনি নেই, এ কথা মানতে পারেন না অনেকেই। তাই এই প্রবণতা দেখা যায়। মনোবিজ্ঞানীরাও একে একপ্রকার মানসিক বিকার বলেই মনে করেন। তবে মৃতদেহের সঙ্গে এতগুলো দিন কাটানোর ঘটনা বোধহয় এর আগে প্রকাশ্যে আসেনি। তাই ঘটনাটি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়েছেন সকলেই।