ধনী আর গরিবের তফাত মুছে গেল ‘ফলের রাজা’-র হাত ধরে। হ্যাঁ, স্রেফ দুটি আম-ই মিলিয়ে দিল দুই শ্রেণির দুজন মানুষকে। যাদের একজন বাড়ির পরিচারিকা, অন্যজন গৃহস্বামী। সেই পরিচারিকার থেকেই দুটি আম পেয়ে বেজায় খুশি ব্যক্তি। কিন্তু কেন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সামাজিক হিসেবে দুজনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। একজন বাড়ির মালিক। অন্যজন পরিচারিকার কাজ করেন সেই বাড়িতেই। কিন্তু সেই বিপুল ব্যবধান মিলিয়ে দিল দুটি মাত্র আম। কিন্তু কীভাবে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কথাই ভাগ করে নিয়েছেন ওই গৃহস্বামী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ছকভাঙা পথেই সাফল্য, বাইকে চড়ে ‘স্বাস্থ্যকর’ ফুচকা বিক্রি বি.টেক পাশ তরুণীর
আসলে কিছুদিন আগেই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা পাশ করেছে ওই গৃহ পরিচারিকার ছেলে। এই পরীক্ষা যে কোনও পড়ুয়ার কাছেই জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় কে কেমন ফলাফল করবে, তার উপরেই নির্ভর করে তার আগামী জীবনের লক্ষ্য। ফলে এই পরীক্ষাটি নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন মা-বাবারাও। আর যে পরিবারে শিক্ষার চল সেভাবে নেই, সামাজিক শ্রেণির দিক থেকেও খানিক পিছিয়েই, সেইসব নিম্নবর্গ বা নিম্নবিত্ত পরিবারে এই পরীক্ষাটির গুরুত্ব আরও অনেক বেশি। তেমনই একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন ওই গৃহ পরিচারিকা। ফলে সন্তানের এই সাফল্যে তিনি যে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই আনন্দই তিনি ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন তাঁর পরিচিত মানুষদের সঙ্গে।
আরও শুনুন: অনেক হয়েছে, আর নয়! ১০২ সন্তানের পর ১২ স্ত্রীকে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়ালেন ব্যক্তি
এমনিতে পরীক্ষায় পাশ করা বা এমন কোনও সুখবর দিলে তার সঙ্গে মিষ্টিমুখ করানোর রেওয়াজ আছে। তবে বড়সড় কিছু করার সামর্থ্য ওই মহিলার ছিল না। কিন্তু মায়ের আনন্দ তাতে বাঁধ মানেনি। তাই দুটি করে আম দিয়েই ছেলের পরীক্ষায় পাশ করার খবর সকলকে জানিয়েছেন তিনি। আর সেই উপহারের শরিক হয়েছেন এই ব্যক্তিও, ঘটনাচক্রে যিনি ওই মহিলাকে বাড়ির পরিচারিকা হিসেবে নিয়োগ করেছেন। উৎকর্ষ গুপ্ত নামের ওই ব্যক্তিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন এই ঘটনা। তাঁর কথায়, কেউ তাদের আনন্দের সময়ে আমাদের জুড়ে নিলে আনন্দ হয়। কোনও বড়সড় দামি উপহার নয়, নিতান্তই সাধারণ এই উপহার আসলে মূল্যবান হয়ে উঠেছে আন্তরিকতার জোরেই। সংকোচ ছাড়াই যে ওই মহিলা এমন উপহার নিয়ে এসেছেন, সেই আচরণ মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদেরও।