ভাগ্য ফেরাল হাওয়াই চটি। স্রেফ চপ্পল বিক্রি করেই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন ব্যক্তি। কীভাবে? আসুন, শুনে নিই।
জুতো বিক্রি করতে হবে। এমন পেশা কি কারও ভালো লাগে! কিন্তু জুতো বিক্রিই যদি পারিবারিক ব্যবসা হয়? তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেই ব্যবসায় যোগ দিতে হয়েছিল এই ব্যক্তিকে। অথচ সেই ব্যবসাই ফিরিয়েছে তাঁর ভাগ্য। বর্তমানে ওই সংস্থার বার্ষিক আয় ২০ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।
আরও শুনুন: ‘মোদিজি, একটা স্কুল বানিয়ে দিন’, অপরিচ্ছন্ন স্কুল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার কাশ্মীরি খুদের
কথা বলছি, দিল্লির এক সংস্থার সম্পর্কে। মূলত জুতো তৈরি করে এই সংস্থা। স্রেফ চপ্পল বিক্রি করেই ওই সংস্থার বর্তমান বার্ষিক আয় ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন সংস্থার কর্ণধার। রমেশ কুমার দুয়া। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। সেইসময় অবশ্য এটি তাঁদের পারিবারিক ব্যবসার অংশ ছিল। মূল ব্যবসা ছিল সাইকেল পার্টসের। রমেশ ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু হঠাৎই এমন সমস্যার সম্মুখীন হয় তাঁর পরিবার, যে তিনি বাধ্য হন পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিতে। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ভাইও। শুরু দিকেই চরম মন্দার মধ্যে পড়েছিল ওই সাইকেল পার্টসের ব্যবসা। তাই রমেশ ঠিক করেন, ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন। একইসঙ্গে হাওয়াই চপ্পলের ব্যবসাও ছিল তাঁদের। তিনি ঠিক করেন সেই ব্যবসার দিকেই মন দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সাইকেল পার্টস তৈরি কার্যত বন্ধ করে দেন তিনি। রমরমিয়ে শুরু করেন চপ্পলের ব্যবসা। কিছুদিন পর রবার শিল্প নিয়ে পড়াশোনার জন্য লন্ডনেও যান তিনি। সেখান থেকে নতুন কিছু কৌশল শিখে দেশে ফিরে আসেন। তারপর আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি।
আরও শুনুন: বয়স কোনও বাধাই নয়! সরকারি পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার ১০৮ বছরের মহিলার
বর্তমানে শুধু চপ্পল নয়, আরও অনেক ধরনের জুতোই তৈরি করে এই সংস্থা। দেশজুড়ে যথেষ্ট পরিচিতিও রয়েছে এই সংস্থার। এমনকি বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সময়ও এই সংস্থার বিশেষ মন্দার মুখে দেখেনি। সেই সময়েও কোটি কোটি টাকা লাভ করেছিল রমেশ কুমারের এই সংস্থা। সব মিলিয়ে সংস্থার বর্তমান বার্ষিক আয় ২০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। স্রেফ চপ্পল বিক্রি করেও যে এত টাকা রোজগার করা সম্ভব, তা বাস্তবেই করে দেখিয়েছেন রমেশ কুমার।