পাঁচ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছিলেন না কানে। বৃদ্ধ ভেবেছিলেন, বোধহয় শ্রবণক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। আচমকা যেন ম্যাজিক ঘটল। এখন সব কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন তিনি। কী সেই ম্যাজিক? আসুন শুনে নিই।
বছর ৬৬-র বৃদ্ধ। কানে শোনার ক্ষমতা হারাচ্ছেন ক্রমশ। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই ছিলেন উদ্বিগ্ন। শেষমেশ কান থেকে বেরিয়ে এল ইয়ারবাড। পাঁচ বছর ধরে কানেই আটকে ছিল সেটি। ঘটনায় তাজ্জব চিকিৎসকও।
আরও শুনুন: জঙ্গিহানা নয়, প্রেম-পরকীয়া-যৌনতার ছুরির কোপেই খুন বেশি মানুষ! বলছে সমীক্ষা
ওয়লেস লি নামে ওই ব্যক্তি এক সময় নৌসেনায় ছিলেন কর্মরত। ভেবেছিলেন, কর্মজীবনে যেরকম আওয়াজের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে, সে কারণেই তিনি শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন। রাগবি খেলার অভ্যাস ছিল তাঁর। সেই সূত্রে আঘাতের কারণে কানে শোনার ক্ষমতা গিয়েছে, এমনটাও ভেবেছিলেন। বেশ কয়েক বছর এভাবেই কেটে যায়। যদিও এভাবে শোনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন তিনি। একদিন নিজেই টেস্ট করার জন্য এন্ডোস্কোপ হোম-কিট কেনেন। আর তাতেই তিনি অবাক হয়ে যান। দেখেন, কানের মধ্যে সাদা মতো কিছু একটা আটকে। এতদিন কেন যে তিনি পরীক্ষা করেননি! হয়তো তা নিয়ে বৃদ্ধ আপশোসও করতে পারেন। তবে এবার কাজের কাজটি করেছিলেন। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ছুটেছিলেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, সত্যিই বৃদ্ধের কানে কিছু একটা আটকে আছে। প্রায় ৫ বছর কেটে গিয়েছে, ফলে কানের সঙ্গে সেটি এমন ভাবে মিশে আছে যে সহজে বের করে আনা সম্ভব নয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় বস্তুটি বের করে আনার পর চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকের। জিনিসটা একটা ইয়ারবাড। সেটি বের করার সঙ্গে সঙ্গেই যেন ম্যাজিক। সব কিছু আবার স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন বৃদ্ধ।
আরও শুনুন: মানুষকে বাঁচাতে এসেছে মঙ্গল গ্রহ থেকে, আজব দাবি খুদের, কিন্তু কেন?
এতদিনে তাঁর মনে পড়েছে অনেকদিন আগের একটি ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি ফেরার সময় একটা বিশেষ এয়ারপ্লাগ কিনেছিলেন। যাতে বিমানের আওয়াজ কানে না লাগে। সেটিই যে কানের ভিতর ঢুকে আটকেছিল এতদিন খেয়ালও করেননি। আপাতত তাঁর সমস্যা দূর হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা দুটি বিষয়ে সাবধান করছে। ইয়ারবাড বা ইয়ারপ্লাগ কানে দেওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আর কানে যদি কোনও সমস্যা হয়, তবে ঘরে চিকিৎসা করা বিপজ্জনক হতে পারে। সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ইয়ারবাড বা ইয়ারপ্লাগ অনেকেই ব্যবহার করেন। বৃদ্ধের এই ঘটনা সকলের জন্যই সতর্কবাণী হয়ে থাকল।