বিয়ের পর কেটে গিয়েছে ছ-বছর। রয়েছে এক সন্তানও। কিন্তু এতদিন পর এই যুগল জানতে পেরেছেন তাঁরা আসলে ভাই-বোন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। প্রথমে মেনে না নিলেও, পরবর্তীকালে দুজনেই বাধ্য হয়েছেন সত্যিটা মেনে নিতে। নিজেদের এই পরিচয় কীভাবে জানলেন তাঁরা? আসুন শুনে নিই।
যাকে বউ বলে মনে করতেন, তিনি নাকি আসলে বউ নন, বোন। বাস্তবে এমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন এক যুগল। দীর্ঘ ছ-বছর এক ছাদের তলায় বাস করার পর জানতে পেরেছেন, তাঁরা আসলে ভাই-বোন। কিন্তু এমনটা কীভাবে সম্ভব?
আরও শুনুন: মজার ছলে বিয়ের আয়োজন পাকিস্তানের কলেজে, পড়ুয়াদের কাণ্ড দেখে ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়া
তাহলে খুলেই বলা যাক।
আসলে এঁরা দুজনেই দত্তক সন্তান। তাই দুজনেই সঠিকভাবে নিজেদের প্রকৃত জন্মদাতাদের পরিচয় জানতেন না। নির্দিষ্ট বয়সের পর তাঁদের বিয়ে হয়। ফুটফুটে এক সন্তানও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু সন্তানের জন্মের কিছুদিন পরই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। চিকিৎসক জানান তাঁর কিডনি নষ্ট হয়েছে। সঠিক কোনও দাতার খোঁজ না পেয়ে মহিলার স্বামী ঠিক করেন, তিনিই কিডনি দান করবেন। এরপরই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীর শরীরে একই রক্ত বইছে। সাধারণত এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়। তবে এঁদের রক্তে নাকি এমন কিছু মিল রয়েছে যা এক পরিবারের সদস্য না হলে কার্যত অসম্ভব। চিকিৎসকেরা একপ্রকার বলেই দিয়েছেন যে ওই যুগল আসলে ভাই-বোন।
আরও শুনুন: অফিসে ঘুমোলেও আপত্তি নেই সংস্থার, অভিনব ‘উপহারে’ সন্তুষ্ট কর্মীরাও
আর এ কথা জানার পরেই মাথায় হাত দুজনের। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা নেটদুনিয়ায় প্রকাশ করেন তাঁরা। সকলের কাছে জানতে চান এখন ঠিক কী করা উচিত তাঁদের। যথারীতি সেখানে বিভিন্ন মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। অনেকেই তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন, বিয়ের এত বছর পর এসব নিয়ে ভাবার কোনও দরকার নেই। অনেকে আবার বলেছেন এর প্রভাব যেন তাঁদের সন্তানের উপর না পড়ে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তাঁদেরই। তবে এই ঘটনায় যে ওই দম্পতির রোজকার জীবনটাই ঘেঁটে গিয়েছে অনেকখানি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।