তারকাদের সঙ্গে আচমকা দেখা হয়ে গেলে কার না ভাল লাগে। তার পর সে যদি পছন্দের কেউ হন। তবে বিপদও যে একেবারে ঘটে না, তা নয়। বিশেষত সেই তারকা যদি পর্নতারকা হয়। আর সেটা যদি হয় আপনার স্বপ্নের হানিমুন। তখন অঘটন ঘটে বৈকি। আর সেই অঘটনের কড়া মাশুলও গুনতে হয়। সম্প্রতি তেমনই ঝামেলায় পড়লেন এক সদ্য় বিবাহিত ব্যক্তি। কী হল তাঁর সঙ্গে শেষমেশ? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মধুচন্দ্রিমা নিয়ে কমবেশি সমস্ত সদ্যবিবাহিতরই নানাবিধ স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা থাকে। তেমনটাই ছিল এই দম্পতিরও। বিয়ের অনুষ্ঠানের হাজারটা ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে অবশেষে পূরণ হয় সেই স্বপ্ন। স্বপ্ননগরী প্যারিসে হানিমুন করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে যে হোটেলে তাঁরা ছিলেন, সেখানেই ঘটে যায় অঘটনটা। দেখা হয়ে যায় প্রিয় তারকার সঙ্গে।
তা প্রিয় তারকার সঙ্গে আচমকা দেখা হয়ে গেলে তো সাধারণত খুশিই হয় লোকজন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন হয়নি। কারণ এই তারকা যে সে তারকা নয়। তিনি বিখ্যাত পর্নস্টার মিয়া খালিফা। যাকে একবার দেখেই চিনে ফেলেছিলেন লায়া মারিয়েলা নামে ওই মহিলার স্বামী।
আরও শুনুন: বিয়ের খরচের ২৩ লাখ টাকা উপহার দিন নিমন্ত্রিতরাই! অদ্ভুত আবদার নবদম্পতির
মিয়াকে দেখে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন ব্যক্তি। বন্ধুদের ফোন করে করে সেই গল্পও বলতে শুরু করেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপারটিকে খুব একটা ভাল ভাবে নেননি লায়া। লায়া আবার নিজে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ফলে এত বড় ঘটনা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিতে ছাড়েননি। ঘটনার একটি ভিডিও তিনি আপলোড করেন টিকটকে। আর রাতারাতি ভাইরালও হয়ে যায় সেটি।
কী ভাবছেন? এখানেই গল্প শেষ! মোটেও না। প্রাক্তন পর্নস্টারকে নিয়ে স্বামীর এই উত্তেজনায় যারপরনাই বিরক্ত হয়েছিলেন লায়া। তার উপরে স্বামী যে ভাবে লাগাতার বন্ধুদের ফোন করে করে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন, তা তো ধৈর্যের সমস্ত সীমাই ভেঙে দিয়েছিল লায়ার। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ততক্ষণে ভরে উঠেছে নানাবিধ প্রতিক্রিয়ায়। এমনকী সেখানে কমেন্ট করেন খোদ মিয়া খলিফা। জানান, শুধু লায়াই নন, এমন ঘটনার ভুক্তভোগী মিয়া নিজেও। তাঁর সঙ্গীও দিনরাত ফোন নিয়েই পড়ে থাকেন। তাই তাঁদেরকে ছেড়ে একদিন একসঙ্গে কেনাকাটা করতে যাওয়ারও প্রস্তাব রাখেন মিয়া। কম যান না লায়াও! তিনিও রাতারাতি কমেন্ট করে মিয়ার সঙ্গে দেখা করার পাল্টা প্রস্তাব ছুঁড়ে দেন।
আরও শুনুন: কাজ বলতে পর্ন দেখা, বেতন আকাশছোঁয়া, এমনই মজার চাকরি পেলেন তরুণী
শেষমেশ কি দেখা হল তারকার সঙ্গে ওই টিকটক স্টারের। সোশ্যাল মিডিয়ার পরবর্তী পোস্ট থেকে তো অন্তত তা-ই জানা গেল। শুধু তাই নয়। প্রাক্তন পর্নস্টারকে চিনে ফেলার যে এত বড় মাশুল দিতে হবে ওই ব্যক্তিকে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। কারণ সেই ভুলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্ত্রীকে একটি বহুমূল্য ব্যাগ কিনে দিতে হয়েছে তাঁকে। না, যে সে ব্যাগ নয়। স্বামীর কাছ থেকে একটি ‘বিরকিন’ ব্যাগ আদায় করে ছেড়েছেন লায়া। যে ব্যাগের দামই শুরু হয় কম সে কম ৫ লক্ষ টাকা থেকে। সেই ব্যাগের ছবিটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন লায়া। এখানেই শেষ নয়। সেই ব্যাগ হাতে খোদ মিয়া খলিফার সঙ্গে পোজও দিয়েছেন তিনি। আর সে সময় ক্যামেরার পিছনে কে ছিলেন, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না? ঠিকই ধরেছেন। সেই ছবি তুলতে হয়েছে লায়ার স্বামীকেই। এমনকী সেসময়েও তাঁকে নিয়ে নিন্দামন্দ করতে ছাড়েননি লায়া। আর সে সমস্ত কিছুই মুখ বুজে সহ্য করতে হয় তাঁকে।
আরও শুনুন: শুধু নাক-মুখ নয়, পায়ুপথেও সম্ভব শ্বাসক্রিয়া, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
কৈশোরে ‘নীল ছবি’-র নেশা তো অনেককেই অধঃপতনে টেনে নিয়ে যায়। তবে সেই অভ্যাস যে পরবর্তী জীবনে এসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এত বড় ধাক্কা দিতে পারে, তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। পর্ন-তারকাকে চিনে ফেলার মাশুল এভাবে গুনতে হবে জানলে তিনি হয়তো প্যারিসে আসতেনই না হানিমুনে। তবে ওই যে ভাগ্যের লিখন বলে কথা, কে খণ্ডাতে পারে বলুন!