ইংরাজি ভাষায় তাঁর অগাধ জ্ঞান। তাই হামেশাই, কঠিন কঠিন ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করতে শোনা যায় শশী থারুরকে। এই নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চাও হয় বেশ ভালোই। তবে সম্প্রতি এক যুবকের কাণ্ড সেই বিষয়টিকে ফের উসকে দিয়েছে। শশী থারুরের বক্তব্য বোঝার জন্য অভিধান নিয়ে সভায় হাজির হয়েছিলেন তিনি। আর তা দেখে ঠিক কী প্রতিক্রিয়া দিলেন খোদ শশী থারুর? আসুন শুনে নিই।
সাধারণ কোনও কথা বলতে গেলেও তিনি এমন সব শব্দ বলেন, যার মানে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয় শ্রোতাকে। তাঁর সভায় যাওয়া তো আর যা তা ব্যাপার নয়! তিনি কী বললেন, তার মানেই যদি না বোঝা যায়, তাহলে আর বক্তব্য শুনে লাভ কী! এদিকে শক্ত ইংরাজি শব্দের ঠেলায় অর্থ বুঝে ওঠা ক্ষেত্রবিশেষে দুষ্কর হয়ে ওঠে। তাই কোনও ঝুঁকিই নেননি এক যুবক। হাতে ইংরাজি অভিধান নিয়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন সেই সভায়।
আরও শুনুন: খুচরো পয়সার সেইসব দিনকাল! IAS অফিসারের পোস্টে নস্ট্যালজিক নেটদুনিয়া
বুঝতেই পারছেন, কথা বলছি শশী থারুরকে নিয়ে। কংগ্রেসের এই নেতা যে দুরন্ত ইংরাজি বলতে পারেন, সেকথা সকলেই জানেন। বিশেষত তাঁর শব্দভাণ্ডার, সকলের সম্ভ্রম আদায় করে নেয়। তবে তারিফের পাশাপাশি বেশিরভাগ সময়ই বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টার আসর বসান নেটিজেনরা। কারণ তিনি এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন, যার মানে উদ্ধার করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় সকলের। শুধু অর্থ উদ্ধার নয়, সেইসব শব্দ উচ্চারণ করা তো দূরের কথা, জীবনে প্রথমবার হয়তো শোনা যায় সেই শব্দ। এমনকী লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও প্রায়শই কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করেন শশী থারুর। তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ও অনেকেই বেশ ভয়ে ভয়ে থাকেন। তবে এক যুবক এ ব্যাপারে এক অদ্ভুত ফন্দি এঁটেছেন। শশী থারুরের এক সভায় তিনি হাজির হয়েছেন ইংরাজি অভিধান নিয়ে।
আরও শুনুন: ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা, ত্রাণ তহবিলে সর্বস্ব দান বৃদ্ধের
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিও যেখানে দেখা যাচ্ছে, নাগাল্যান্ডের একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন শশী থারুর। সেখানেই একটি অভিধান নিয়ে বসে আছেন যুবক। অবশ্য তিনি একা নন। অনেকেই সেই সভায় অভিধান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সে কথাও জানা যায় অন্য একটি ভাইরাল ভিডিও থেকেই। যেখানে দেখা গিয়েছে, অনেকেই তাঁদের অভিধানে শশী থারুরের সই সংগ্রহ করছেন। তবে ঘটনার কথা জানার পর পালটা দিয়েছেন শশী থারুরও। যুবকের পোস্ট করা ভিডিওটিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, এভাবে অর্ধেক ভিডিও পোস্ট না করে তাঁর সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করা হোক। তাহলেই সবাই বুঝতে পারবেন তিনি আদৌ কঠিন শব্দ বলেছেন কি না। দর্শকদের উদ্দেশে তিনি কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, তাঁর বক্তৃতা থেকে অন্তত তিনটি শব্দ খুঁজে দেখান যার মানে বোঝার জন্য অভিধান দেখতে হবে। সেদিনের সভায় তিনি কঠিন শব্দ বলেছিলেন কি না, তা অবশ্যই তর্কের বিষয়। কিন্তু বাস্তবে যে তিনি প্রায়শই কঠিন ইংরাজি ব্যবহার করেন একথা বলাই বাহুল্য। আর তাই অভিধান হাতে শশীর সভায় গিয়ে নেটদুনিয়ার পুরনো রসিকতার প্রসঙ্গই আবার ফিরিয়ে এনেছেন এই যুবক।