না জানিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে হানা। কিন্তু কিছু চুরি করেননি। বাইরে বসে স্রেফ একটার পর একটা জুতো হাতে নিয়েছেন। প্রাণ ভরে সেই জুতোর গন্ধ শুঁকেছেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে অবাক হয়েছেন ব্যক্তি। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শখের বড় আজব বালাই! শখ মেটাতে কতজন সর্বশ্রান্ত হন। জীবনের ঝুঁকি নিতেও দুবার ভাবেন না কেউ কেউ। এক্ষেত্রে অবশ্য শখ বললে ভুল হয়। এই ব্যক্তির অদ্ভুত শখ বর্তমানে নেশায় পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার অবধি হতে হয়েছে।
ঘটনা গ্রিসের। সেখানকার ছোট্ট এক শহরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি। বয়স ২৮। এই বয়সী কারও পক্ষে নেশা করা খুবই স্বাভাবিক। মদ্যপান কিংবা সিগারেটের নেশা থাকতেই পারে। কিন্তু না, এই যুবক মাদকের আসক্ত নন। বরং জুতোর গন্ধ এঁকে পাগলের মতো টানে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। যে গন্ধ সাধারণত কেউ পছন্দ করেন না, ইনি তাতেই মাতাল হতে চান। নিজের জুতো তো বটেই, অন্যের জুতো নাকে ঠেকিয়ে ঘ্রাণ নিতেও বেজায় পছন্দ করেন। প্রথমে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জুতো নিয়ে এমন অদ্ভুত আচরণ করতেন। ইদানিং তাতেও মন ভরছে না। হাজির হচ্ছেন অন্যের বাড়িতে। না জানিয়েই জুতোর বাক্স খুলে বের করছেন ব্যবহার করা জুতো। তারপর মন দিয়ে গন্ধ শুঁকছেন। অন্য কোনও উদ্দেশ্য তাঁর নেই। একটা জুতোও সঙ্গে করে নিয়ে যান না। চুরি করেন না অন্য কিছুও। স্রেফ গন্ধ শুঁকে রেখে দেন। একবার নয়, বারবার এমনটা করেছেন ওই যুবক। প্রথমদিকে কেউ তেমন গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টা দেখতেন না। যেহেতু কারও কোনও অনিষ্ট হয়নি, তাই যুবকের নামে অভিযোগও জানাতেন না কেউ। তবে কিছুদিন আগে যুবকের এক প্রতিবেশী এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। তাতেই গোল বাঁধে।
পুলিশের চোখে বিষয়টি এতটাও সহজ হিসেবে মনে হয়নি। তাই যুবককে থানায় ধরে নিয়ে যান তাঁরা। আটকে রেখে জীজ্ঞাসাবাদ করেন। যুবকের কথায় কোনও অসংগতি ছিল না। কিন্তু এমনটাও যে কারও নেশা হতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারেননি পুলিশ কর্তারা। আদালতে পেশ করা হয় যুবককে। সেখানেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এমন অপরাধে কী শাস্তি তা জানতেন না খোদ বিচারকও। এদিকে বিচার না করে ছেড়ে দেওয়াও যায় না। শেষমেশ না জানিয়ে অন্যের বাড়িতে ঢোকার অপরাধে যুবককে এক মাস জেলের সাজা দেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে এই নেশা কাটানোর পরামর্শও দেন। তবে এমনটা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন ওই যুবক। তাঁর বাড়ির লোকজনও এই নেশার চোটে অতিষ্ট। কিন্তু চেষ্টা করেও কেউ কিছু করতে পারেননি।